কিম জং–উনের ব্যক্তিগত ট্রেনে কি কি সুযোগ-সুবিধা আছে
Published: 3rd, September 2025 GMT
বিদের ভ্রমণে গেলে রাষ্ট্রপ্রধানরা সাধারণত উড়োজাহাজে চড়েন। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। তিনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য সবুজ রঙের একটি ধীরগতির ট্রেন ব্যবহার করেন। ট্রেনের চড়েই তিনি ভ্রমণ করেন বিভিন্ন দেশে। কিমের সবুজ রঙের ট্রেনটি ধীর গতির হলেও এতে বিলাসিতার নানা রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
কিম জং উনের এই ট্রেনটি অন্য ট্রেন থেকে আলাদা। এই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে 'তেইয়াংগো'। কোরিয়ান ভাষায় এর অর্থ হলো সূর্য। এই নামের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংকেও তুলে ধরা হয়।
আরো পড়ুন:
বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চীনে প্রবেশ করলেন কিম জং উন
পুতিনকে ‘ঘনিষ্ঠ কমরেড’ বললেন উন
১ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে চীনের রাজধানীর পথে রওনা হয়েছিলেন কিম জং—উন। ট্রেনটি বিশেষভাবে নকশা করা। বিশেষ নকশা করা ট্রেনটি উত্তর কোরিয়ার নেতারা কয়েক দশক ধরেই ব্যবহার করছেন। এই ট্রেনে রয়েছে আরামদায়ক শয়নকক্ষ, অফিস, বৈঠকের স্থান, খাবার, নিরাপত্তাকর্মী ও আধুনিক সব সুবিধা।
ট্রেনটি আগাগোড়া বুলেটপ্রুফ। চিন, রাশিয়া, এমনকি ভিয়েতনানেও এই ট্রেনে চড়েই সফর করেছেন কিম। যাত্রবাহী উড়োজাহাজের চেয়ে এটি অনেক বেশি নিরাপদ ও আরামদায়ক। এতে কিমের সফরসঙ্গী, নিরাপত্তাকর্মী, খাবার ও অন্যান্য সুবিধার বন্দোবস্তও রয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় বিশেষজ্ঞ আন বিয়ুং মিনের দাবি, একটি নয়, নিরাপত্তার কারণে একই রকম অনেক ট্রেন ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ট্রেনে ১০-১৫টি বগি থাকে। তার মধ্যে কয়েকটি কিম নিজে ব্যবহার করেন, বাকি বগিগুলিতে তার নিরাপত্তারক্ষী, চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য রাখা থাকে।
কিছু কামড়া শুধু নেতার জন্য, যেমন—শয়নকক্ষ। অন্য বগিগুলোতে থাকে নিরাপত্তাকর্মী এবং চিকিৎসাকর্মীরা। এ ছাড়াও সেই কিমের কার্যালয়, যোগাযোগের সরঞ্জাম, রেস্তোরা এবং মার্সিডিজ গাড়ি রাখার বগিও থাকে। বিদেশ সফরের সময় পুরো ট্রেনটিই হয়ে ওঠে কিমের প্রশাসনিক দফতর। তবে এই ট্রেন নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার ঝামেলাও আছে। কারণ সব দেশের ট্রেনের লাইনের মাপতো এক নয়। ২০২৩ সালে রাশিয়া সফরের সময় সীমান্ত স্ট্রেশনে ট্রেনের চাকা বদলাতে হয়েছিলো।
২০০৯ সালের নভেম্বরে রক্ষণশীল দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদপত্র চোসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল , এই সবুজ ট্রেনে প্রায় ৯০টি গাড়ি আছে। ট্রেনটিতে কনফারেন্স রুম, দর্শকদের চেম্বার এবং বেডরুম, স্যাটেলাইট ফোন এবং ফ্ল্যাট-স্ক্রিনের টেলিভিশনও রয়েছে ব্রিফিং এর জন্য।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম জ উন ব যবহ র কর এই ট র ন ট র নট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন