২০ মিনিট ঘুমানোর ঘর ‘ন্যাপ ক্যাফে’
Published: 4th, September 2025 GMT
কর্মস্থানে ‘ওয়েলনেস টেন্ড’ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ন্যাপ ক্যাফে। এ হলো একটি একটি ক্যাফে সেখানে অফিসের কর্মীরা ২০ মিনিট ঘুমানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন। মাত্র বিশ মিনিটের ঘর একজন কর্মীকে ক্লান্তি কাটিয়ে সতেজ হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। এতে কর্মশক্তি ও কর্মউদ্দীপনা দুই’ই বাড়ে।
কী থাকে ন্যাপ ক্যাফেতে
প্রতিটি ক্যাফেতে রয়েছে প্রাইভেট পড বা রিক্লাইনিং চেয়ার। নরম কম্বল, মৃদু সুরের গান শোনার ব্যবস্থা, আর ঘরটি সাজানো থাকে মৃদু আলোয়। একটি পারফেক্ট পাওয়ার ন্যাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ক্যাফেগুলো সাজানো হয়।
আরো পড়ুন:
জম্মু-কাশ্মীরে ভারি বৃষ্টিতে ভূমিধস, নিহত অন্তত ৩০
একা হয়ে পড়া মানুষদের স্বাগত জানানো হয় যে দোকানে
কর্মীরা যেভাবে সেবা নিয়ে থাকেন
কর্মীরা অ্যাপের মাধ্যমে একটি স্লট বুক করতে পারেন, যেখানে তারা ন্যাপের সময়কাল, অ্যারোমাথেরাপির সুগন্ধি বা এমনকি মৃদু Wake-Up Sound-ও নির্বাচন করতে পারেন। স্টাফরা দ্রুত শিথিল করতে ভিজিটরদের আই মাস্ক, ইয়ারপ্লাগ এবং ভেষজ চা প্রদান করে। তাদের লক্ষ্য হলো ঘুমকে কার্যকর, স্বাস্থ্যকর এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। কাজের সময় ঘুমের ভাব এলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতিতে অলসতা হিসেবে দেখা হতো। বর্তমানে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অফিস কর্মীরা মাত্র একটি ছোট বিশ্রামের পরে নিজেদের কর্মশক্তি ফিরে পান। কাজে মনোযোগ বাড়াতে পারেন। ফলে এই সংস্কৃতি কোম্পানি ও কর্মী উভয়ের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাধারণত লাঞ্চ ব্রেকের সময় ন্যাপ ক্যাফে ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব
ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”
শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।
আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী