লতা-আশা ভোঁসলের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ রফি পুত্রের গুরুতর অভিযোগ
Published: 4th, September 2025 GMT
ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফি। এক সময় বলিউড প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে রাজত্ব করেছেন। ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই মারা গেলেও তার গানের কদর এখনো কমেনি। এ গায়কের পুত্র শহিদ রফি অভিযোগ করেছেন—বরেণ্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে তার বাবার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
শহিদ রফি জোর দিয়ে বলেন যে, তার বাবার সঙ্গে পুরুষ সহশিল্পীদের সম্পর্ক সবসময় সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল, তবে নারী শিল্পীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা ছিল। সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহিদ রফি বলেন, “উনারা (নারী গায়িকারা) হিংসা করতেন, কারণ রফি সাহেব সবার উপরে ছিলেন; তারা চাইতেন সবাই তাদের নিচে থাকুক। মানুষ তাকে নাম্বার ওয়ান বলতেন, এটা তাদের ভালো লাগত না। আমি কোথাও শুনেছি, ‘রফি সাব নাকি ৯ বছর বাসায় বসেছিলেন, হতাশায় ভুগছিলেন।’ প্লিজ! আপনি সত্তর দশকের যেকোনো গান শুনুন।”
আরো পড়ুন:
বায়োপিক নির্মাণের অনুমতি দেননি লতা মঙ্গেশকর, পরিবার দেবে?
লতা মঙ্গেশকরের অস্থি বিসর্জন
মোহাম্মদ রফি সংগীত জগত থেকে অল্প কিছু সময় অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এটা পেশাগত কোনো সমস্যা ছিল না। বরং ধর্মীয় এক নেতা গান গাওয়াকে ‘পাপ’ বলায় কিছু দিন গান গাওয়া বন্ধ করেছিলেন। পরে মোহাম্মদ রফি আবার গানে ফিরেন বলে দাবি শহিদের।
আরেকটি ঘটনা বর্ণনা করে শহিদ রফি বলেন, “আমি কারো সামনে বলতে দ্বিধা করব না। এটা আমি লতাজিকেও তার জীবদ্দশায় বলেছিলাম। লতাজি অভিযোগ করেছিলেন, ‘রফি সাহেবের ক্যারিয়ার পড়তির দিকে যাচ্ছিল এবং সে তাকে ক্ষমা করতে বলেছিল।’ সে কখনো এটা বলেনি। আমি আপনাকে বলতে পারি, লতা জি-ই এই কথা বলেছিলেন এবং ‘দুজন মানুষ বাবার কাছে এসে লতাজিকে ক্ষমা করতে বলেছিলেন।’ তখন অনেক নতুন গায়ক উঠে আসছিলেন, এমনকি তার নিজের বোনও। তিনি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছিলেন। তাহলে আমাকে বলুন, কে তখন পতনের মুখে ছিল?”
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শহিদ রফি বলেন, “তখন আমাদের জন্যও বাবার সময় ছিল না। আমার বাবার বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বললে, আমি কখনো সহ্য করব না। আমি চুপ থাকব না, সে যেই হোক না কেন। আমার বাবা আমার বাবা ছিলেন। আমি জানি তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।”
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যখন রফিকে সম্মান জানানো হচ্ছিল, তখন লতা মঙ্গেশকর ‘হস্তক্ষেপ’ করেন। সর্বশেষ সেই স্বীকৃতি লতা মঙ্গেশকর নিজেই পান। রফি সাহেব তখন বিষয়টি চেপে যান বলেও অভিযোগ শহিদের।
আশা ভোঁসেলের কথিত মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহিদ। তিনি বলেন, “আপনি শিক্ষিত মানুষ, একটু লজ্জা থাকা উচিত। এই বয়সে এসেও এসব কথা? আমি ওনাকে সরাসরি বলছি। উপরে আল্লাহ বসে আছেন। কেউ যদি আমার বাবার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলে, আমি সহ্য করতে পারি না। আপনার যথেষ্ট বয়স হয়েছে, আপনি নিজেকে নিয়ে বলুন।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র ব ব বল ছ ল কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।