পেঁপের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে `প্রোটিন’ভেঙে যেতে পারে
Published: 5th, September 2025 GMT
উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ ফল পেঁপে। কাঁচা-পাকা দুই ধরণের পেঁপেতেই রয়েছে পাপেইন ও কাইমোপাপেইন নামক এনজাইম। আর এনজাইম দুধকে দই বানিয়ে ফেলতে পারে। সুতরাং পেঁপের সঙ্গে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফোলা ভাব। ভুগতে পারেন অস্বস্তিতে। দুগ্ধজাতীয় খাবার ছাড়াও এমন বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে প্রোটিন ভেঙে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী জানিয়ে দিচ্ছি।
উচ্চ প্রোটিযুক্ত খাবার
পেঁপেতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার এনজাইম। যা প্রোটিন ভেঙে দিতে পারে। সুতরাং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন মাংস, মাছ কিংবা তোফু পেঁপের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুন:
ডায়রিয়া হলে কী খাওয়া যাবে, কী খাওয়া যাবে না
নিয়মিত শরীরচর্চা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: গবেষণা
চর্বিযুক্ত খাবার
পেঁপে ও চর্বিযুক্ত খাবার মিশিয়ে খেলে পেট ফুলে যাওয়া বা বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস কিংবা ক্রিমযুক্ত সসের মতো খাবারগুলো হলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। এর সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে খাওয়া মোটেই উচিত হবে না।
টকজাতীয় খাবার
সাইট্রাস বা কমলা, লেবু বা জাম্বুরার মতো ফলে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি। তাই সাইট্রাস ফল ও পেঁপে একসঙ্গে খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, পেটব্যথা, পেটে হঠাৎ অস্বস্তি কিংবা ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই এই দুই ধরনের ফল একসঙ্গে খাবেন না। এ ছাড়া আচারের মতো খাবারে বিদ্যমান প্রোবায়োটিক ও এনজাইমকে পেঁপেতে বিদ্যমান এনজাইম ভেঙে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার পেঁপের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
চা
চায়ের সঙ্গে পেঁপে খাবেন না। কারণ চায়ে যে ট্যানিন ও ক্যাফেইন আছে- এর সঙ্গে পেঁপেতে থাকা পাপেইন এনজাইম মিশে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বা পরিপাকনালির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন চর ব য ক ত সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।