গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৩ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী আরিফ শেখকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মোক্তরপুর ইউনিয়নের কালিহাসি মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ভূমি প্রতিরোধ আইনের মামলার রায় কার্যকর

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৭ জনের যাবজ্জীবন

গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলাম উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের মোক্তারপুর টেকপাড়া গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে এবং আরিফ শেখ একই ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন শেখের ছেলে।

ওসি আলাউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারি আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আরিফুল ইসলামের কাঁধে ঝুলানো একটি কালো রঙের ট্রাভেল ব্যাগ তল্লাশি করে ৩ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর অধীনে মামলা (নং-১২, তাং- ০৪-০৯-২০২৫) দায়ের হয় তাদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজত পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জব দ আর ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। 

আরো পড়ুন:

ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা

শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 

ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান। 

আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান। 

উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। 

তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ