মানিকগঞ্জের ঘিওরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের নিরাপত্তার খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ২ যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা নতুন ব্রিজের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে গাড়ির চাপায় বৃদ্ধা নিহত

সিলেটে ৪ যানের সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু 

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলা চাষাভাদ্রা গ্রামের ময়নাল মন্ডলের ছেলে সুজন মন্ডল (২০) ও ধুবলিয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোহান (২০)। আহত মারুফ হোসেন (২১) একই উপজেলার জাকির হোসেনের ছেলে।

ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) কহিনুর ইসলাম বলেন, ‘‘তিন বন্ধু মানিকগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইলে ফিরছিলেন। পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খুঁটিতে ধাক্কা লেগে তিন আরোহী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুজন ও সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মারুফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/চন্দন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ