রাকসুতে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ সুযোগ চান ৫ ছাত্রদল নেতা
Published: 6th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ চেয়েছেন শাখা ছাত্রদলের পাঁচ নেতা। একই সুযোগ চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক সমন্বয়কও।
তাদের কারও নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাকসু: সংগ্রামী শাহরিয়ার মোর্শেদ কাজ করতে চান সেশনজট নিয়ে
রাবি ছাত্রীদের নিয়ে ছাত্রদল নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে ইবিতে মানববন
ওই নেতারা হলেন, শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তুষার হাসান এবং সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না।
আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট শাসনামলে’ রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে সুষ্ঠুভাবে মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। তাই দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করার সুযোগ চান তারা।
জানা যায়, শফিক ও তুষার ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এবং রাহী, জহুরুল ও সোহাগ ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে আবেদন করেছেন। মুন্নার বিভাগের নাম জানা যায়নি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় দ্বিতীয় মাস্টার্স করার সুযোগ থাকলেও পরে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাহী বলেন, “আমি দ্বিতীয়বার মাস্টার্সের জন্য আবেদন করেছি। দল চাইলে নির্বাচনে অংশ নেব।”
সাবেক সমন্বয়ক মুন্না বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাজপথে ছিলাম। ছাত্রত্ব শেষ হলেও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। এজন্য ভর্তির সুযোগ চেয়েছি।”
ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আসন্ন রাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে আমরা কয়েকজন শিক্ষক উপাচার্যকে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “আবেদনকারীদের জন্য আমি সুপারিশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। উপাচার্য বিষয়টি বিবেচনা করবেন ও আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ হোসাইন বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা রাকসু বানচাল করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা। তারা এর আগেও নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। যদি তারা দ্বিতীয় মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ পাই, তাহলে নতুন করে আবার সমস্যা দেখা দেবে। রাকসু আবার পিছিয়ে যেতে পারে বা নাও হতে পারে।”
সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “রাকসুর মনোনয়ন বিতরণ শেষ, এতদিন তাড়া কোথায় ছিলো? রাকসু নিয়ে গত ১ বছর ধরে আলাপ চলছে তাদের উচিত ছিল, তখন এগুলো নিয়ে কথা বলা। রাকসু নির্বাচনের আছে আর কয়দিন বাকি। এখন এসব নিয়ে আলাপ রাকসু নির্বাচন বানচাল করার একটা পায়তাড়া ছাড়া কিছু না। যদি সেকেন্ড মাস্টার্স করার সুয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে সেটা সবারই পাওয়া উচিত।”
আরেক সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, “রাকসুকে মূলত একটা দীর্ঘ প্রসেসে নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা এটা। এখন যদি সেকেন্ড মাস্টার্সের সুযোগ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে রাকসু পিছিয়ে যাবে। এটা আমরা চাই না। ডাবল মাস্টার্স হোক আর যাই হোক, নির্বাচন ২৫ তারিখেই হতে হবে।”
তিনি বলেন, “২৮ জুলাই রাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তাদের কি তখন হুশ ছিল না? তারা এখন এসব বিষয়গুলো সামনে আনছে সুতরাং আমার মনে হচ্ছে এটা রাকসুকে বানচাল করার একটা প্রচেষ্টা।”
আইন বিভাগ শিক্ষক অধ্যাপক ড.
ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “এমন কোন রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই যে, সেকেন্ড মাস্টার্সের আবেদন করতে পারবে। যদি চারজন করতে পারে তাহলে চার হাজার জনও করতে পারে, আমি নিজেও করতে পারি। কোনো দল বা ব্যক্তি এখানে বিষয় না। এটা একটা ভর্তি প্রক্রিয়া।”
তিনি বলেন, “এখানে যদি চারজন সুযোগ পায় সেখানে আরো ৪০০ জন আবেদন করবে, তারাও ভর্তি হবে। আগে তারা সুযোগ পাক তারপর দেখা যাক কি হয়।”
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “ছাত্রদলের চার নেতার আবেদন পেয়েছি। কোনো দল বা পক্ষের সুপারিশ নয়, দ্বিতীয় মাস্টার্সের বিষয়টি অ্যাকাডেমিকভাবে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল স ব ক সমন বয়ক ভর ত র স য গ ব শ বব দ য উপ চ র য ছ ত রদল ন বল ন কর র স
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।