ভারতের আলোচিত সংগীতশিল্পী মিকা সিং। নানা কারণে বছরজুড়ে আলোচনায় থাকেন তিনি। ২০২২ সালে গোটা একটি দ্বীপ কিনে খবরের শিরোনাম হন এই গায়ক। এবার জানালেন, ৯৯টি বাড়ির মালিক মিকা সিং। 

গালাটা ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিকা সিং বলেন, “আমি ৯৯টি বাড়ি তৈরি করেছি, যার মধ্যে কিছু ছোট, কিছু বড় বাড়ি রয়েছে। আবার এর মধ্যে কিছু কিছু বাড়ি খুব দামি। আবার কিছু বাড়ি গ্রামের দিকেও আছে।” 

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রীদের জোরপূর্বক দেহব্যবসা, গ্রেপ্তার বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী

শিল্পা-রাজের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

এত বাড়ির মালিক হয়েও মানুষের কটাক্ষ সহ্য করেছেন মিকা। তার ভাষায়, “বাড়ি কতটা ছোট বা বড় তা দেখা হয় না বরং আপনার কতগুলো বাড়ি আছে তা দেখা হয়। অনেকেই আমাকে ভালোবাসেন, কিন্তু কেউ কেউ আমার নিন্দাও করেন। তারা বলেন, ‘ও পাগল, বিয়ে করেনি। এ সব কে দেখাশোনা করবে?” 

মিকা তার দাদুর একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, “আমরা কৃষকের সন্তান। আমরা জানি না টাকা দিয় কী করব, কোথায় খরচ করব। আমরা শুধু একটা জিনিস জানি যে, জমি কিনে রাখা উচিত। দাদু সব সময় বলতেন, ‘জমি কখনো তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে না।” 

অর্থ সঞ্চয়ের আহ্বান জানিয়ে মিকা সিং বলেন, “আমি একাই ধনী নই। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক গায়ক আছেন, যাদের প্রচুর অর্থ রয়েছে। সেই দরিদ্র ছেলেরা কেবল গুচি-ভুচি পরেই থাকে। তারা কোনো কারণ ছাড়াই চার্টার্ড প্লেনে ভ্রমণ করে। আপনি অনেক টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। সঞ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। টাকা ব্যয় করুন, কিন্তু সব খরচ করবেন না।” 

পপ ও র‍্যাপ ধাঁচের গান করে ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান মিকা সিং। করেন চলচ্চিত্রের গানও। ২০১১ সালে ‘লুট’ ছবি দিয়ে বলিউডে নাম লেখান তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আরেকটি বলিউডি ছবি করেন। নাম, ‘বলবিন্দর সিং ফেমাস হো গ্যায়া’। গত বছর ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ সিনেমায় অভিনয় করেন মিকা। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ