হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, চলছে ১৪৪ ধারা
Published: 7th, September 2025 GMT
হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে জুলুস ফেরত সুন্নীদের সংঘর্ষের পর হাটহাজারী উপজেলা সদর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারী আছে। যা চলবে আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
আজ রবিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত হাটহাজারীর পরিস্থিতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটহাজারীতে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে। হাটহাজারী সদরের উপর দিয়ে বহমান চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে সীমিত সংখ্যক। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কেও যানবাহন চলাচল কম। হাটহাজারী সদরে দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, গতকাল রাত ১টার পর আর কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদরাসা) মাদরাসার সামনে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে চট্টগ্রাম থেকে জুলুস ফেরত সুন্নীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত চলমান থাকে। এই সময় অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও সুন্নি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় ৮০ আহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র পর স থ ত অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙ্গায় অবরোধের তৃতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি, সতর্ক প্রশাসন
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা এলাকায় পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার দিনভর ব্যাপক সহিংস ঘটনার পর মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
ফরিদপুরে সড়ক অবরোধ করলেন আন্দোলনকারীরা
আজ সকালে ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। আজ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকায় মানুষজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন এবং জরুরি কাজ সারছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আশা করছি, আজকের দিনের শেষে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।”
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত পাঁচদিন ধরে স্থানীয়রা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ভাঙ্গায় উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সরকারি অফিস ভাঙচুর করতে শুরু করেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন সেখানে। আন্দোলনকারীরা পরে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের অন্তত তিনটি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা/তামিম/মাসুদ