হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে জুলুস ফেরত সুন্নীদের সংঘর্ষের পর হাটহাজারী উপজেলা সদর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারী আছে। যা চলবে আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

আজ রবিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত হাটহাজারীর পরিস্থিতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটহাজারীতে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে। হাটহাজারী সদরের উপর দিয়ে বহমান চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে সীমিত সংখ্যক। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কেও যানবাহন চলাচল কম। হাটহাজারী সদরে দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, গতকাল রাত ১টার পর আর কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদরাসা) মাদরাসার সামনে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে চট্টগ্রাম থেকে জুলুস ফেরত সুন্নীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত চলমান থাকে। এই সময় অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ অবস্থায় শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও সুন্নি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় ৮০ আহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র পর স থ ত অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ