রাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা
Published: 7th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
প্যানেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীরকে সহসভাপতি (ভিপি), দপ্তর সম্পাদক ও আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের নাফিউল ইসলাম জীবনকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জাহিন বিশ্বাস এষাকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কমছে প্রাথমিকের ছুটি
আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, ৬ দাবিতে অনঢ় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক রাকসু নির্বাচনের এই প্যানেল ঘোষণা করেন।
ছাত্রদল মনোনীত এই প্যানেলে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নার্গিস খাতুন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান শাওন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল কাফী, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম অধী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বপ্না আক্তার, সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে নুসরাত ঈশিতা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে গাজী ফেরদৌস হাসান, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে রেদোয়ানুল ইসলাম হৃদয়, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রাফায়েতুল ইসলাম রাবিত, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নূর নবী লড়বেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ হোসেন, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে নাইমুল ইসলাম নাঈম, বির্তক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে মাসুম বিল্লাহ, সহবির্তক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে জিসান বাবু, পরিবেশ ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে এআর রাফি খান, সহপরিবেশ ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে কুঞ্জশ্রী রায় সুলগ্ন (শুভ) সদস্য পদে মিনারুল ইসলাম মেঘ লড়বেন। সদস্য হিসেবে মনোনিত হয়েছেন সাইদ হাসান ইবনে রুহুল, মাহবুব মোর্শেদ ইল্লিন মো.
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাকসুর পাশাপাশি ১৭টি হল সংসদের প্যানেলও চূড়ান্ত করেছে দলটি। প্যানেল ঘোষণার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য ছ ত রদল র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।
এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।
এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।
সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’