সিদ্ধিরগঞ্জে মতির সহযোগী বহু অপকর্মের হোতা আজিম সাউদ বিএনপির ছত্রছায়ায়
Published: 7th, September 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আজমেরী ওসমানের পরিবারের সাথে গভির সর্ম্পক স্থাপনকারী কারাগারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতির অন্যতম সহযোগী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর বহু অপকর্মের হোতা আজিম সাউদ এখন বহাল তবিয়তে।
তিনি গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। আজিম সাউদ গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার রহমান সাউদের ছেলে। বর্তমানে বার্মাশীলসহ আশ-পাশ এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দলোনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে এখনও এলাকায় রয়েছে আজিম সাউদ। সে আজমির ওসমানসহ কারাগারে থাকা যুবলীগ সন্ত্রাসী মতির গুপ্তচর হয়ে গোদনাইল বার্মাশীলসহ আশ-পাশ এলাকায় গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.
তবে বুঝার কোন উপায় নেই। সকাল থেকে রাত উঠাবসা করে বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের সাথে আর আওয়ামী নেতাকর্মীদের গোপন তথ্য দিয়ে সংগঠিত করছে বলে চাউর রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ফ্যাসিস্ট আ.লীগের সরকারের আমলে আজমির ওসমানসহ সন্ত্রাসী মতির ছত্রছায়ায় আজিম সাউদ গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার সাধারণ মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করে। আজিম, আজমির ওসমানসহ মতির সেল্টার থাকায় আওয়ামী সরকারের সময় তাকে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়নি।
আওয়ামী সরকারের সময় বিএনপি-জামাত বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিছিলে যোগদান করেছিল আজিমসহ তার দোসরা। আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ নির্বাচনেরও শামিম ওসমানের পক্ষে মিছিল মিটিং সমাবেশসহ নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন।
গত বছর ৫ আগষ্ট আ.লীগের সরকারের পতন হলে আজমির ওসমানের পরিবার ও সন্ত্রাসী মতিসহ তার বাহিনীর সাথে আত্মগোপনে চলে যায় আজিম।
পরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে সর্ম্পক করে আবার এলাকায় চলে এসে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেয়। এলাকাবাসীর দাবি এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী আজিমসহ তার দোসরদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আজম র ওসম ন কর ম দ র সরক র র এল ক র ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।
কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা