বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞাতা জানালেন যবিপ্রবির স্নাতক পাস শিক্ষ
Published: 8th, September 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শুধু জ্ঞান অর্জনের স্থান নয়, এটি অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবনের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নেন, ভর্তি হন বিভিন্ন বিভাগে। শত সীমাবদ্ধতা ও সামাজিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নিজেদের স্বপ্নকে সত্যি করার পথচলায় তাদের রয়েছে অদম্য ইচ্ছাশক্তি। রাইজিংবিডিকে এ পথচলায় সঞ্চিত নানা অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন যবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
ধৈর্যশীলরা ব্যর্থ হয় না
আরো পড়ুন:
ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ
বেরোবি শিক্ষার্থীর পায়ের উপর দিয়ে গেল পিকআপ
আমি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার এক গ্রামের ছেলে। শৈশব থেকেই হোস্টেল জীবন শুরু। সেখানেই শিখেছি সংগ্রাম আর স্বপ্নের অর্থ। প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় গিয়ে কোচিং জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও কখনো হাল ছাড়িনি। আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারিনি। কিন্তু মায়ের দোয়া আর নিজের ধৈর্যের জোরে একের পর এক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। অবশেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়ে আমার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরু হয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শুধু পড়াশোনার জ্ঞানই দেয়নি, বরং শিখিয়েছে মানিয়ে নিতে, লড়াই করতে আর ভালো মানুষ হতে। করোনার সময়ে প্রথম বর্ষের আমেজ পুরোপুরি উপভোগ করতে না পারলেও পরে হলে উঠে বন্ধু, সিনিয়র আর শিক্ষকদের সান্নিধ্যে পেয়েছি নতুন এক পরিবার। খেলাধুলা আমাকে দিয়েছে বন্ধুত্ব, নেতৃত্ব আর আত্মবিশ্বাস। একাডেমিক দিক থেকেও কিছু সাফল্য এসেছে—প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনে পুরস্কার, গবেষণা কাজ ও জার্নাল প্রকাশের সুযোগ।
সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলো এসেছে বন্ধুদের সঙ্গে—একসঙ্গে রান্না, আড্ডা, খেলাধুলা আর জন্মদিনের আয়োজনগুলো আমাকে বুঝিয়েছে, রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও পরিবার তৈরি করা যায়। অবশ্যই এ পথচলায় কষ্টও ছিল—আর্থিক চাপ, টিউশনি, পরীক্ষা আর মানসিক দুশ্চিন্তা। কিন্তু সেসবই আজ পরিণত হয়েছে মূল্যবান অভিজ্ঞতায়।
আজ গ্র্যাজুয়েশন শেষে যখন পেছনে তাকাই, মনে হয়—এই কয়েকটা বছরই ছিল জীবনের সবচেয়ে শিক্ষণীয় অধ্যায়। আর সামনে তাকালে আমি আশাবাদী—ইতিমধ্যেই আমি জাপানের আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্যানিও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইনকর্পোরেটেড -এ জুনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেয়েছি। বর্তমানে ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর জাপানে যোগ দেব।
আমি জুনিয়রদের শুধু একটি কথাই বলতে চাই—আল্লাহ কখনো ধৈর্যশীলদের ফেরান না। নিজের স্বপ্ন আঁকড়ে ধরো, বাবা-মায়ের দোয়া নাও, আর পরিশ্রম করো। আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই।
(লেখক: এএম তফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)
পড়াশোনা চালানোর জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজও করেছি
আমি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। পড়াশোনার খরচ চালানো সবসময়ই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এসএসসির পর থেকে টিউশনি করেছি, এমনকি রাজমিস্ত্রীর কাজও করেছি শুধু পড়াশোনাটা চালিয়ে নেওয়ার জন্য। ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় আমার জিপিএ ছিল ৩.
বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, বরং চরিত্র গঠন, দক্ষতা অর্জন আর আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে ওঠার এক মহামূল্যবান প্ল্যাটফর্ম। এখানে শিক্ষক, বন্ধু আর সহকর্মীদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্লাব কার্যক্রম ও সেমিনারে অংশ নিয়ে নেতৃত্ব ও দলগত কাজের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। পাশাপাশি টিউশনি ও ব্যবসা করে আর্থিক চাপ সামলাতে হয়েছে, যা আমাকে দৃঢ়তা, সময় ব্যবস্থাপনা আর দায়িত্বশীলতা শিখিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিল দ্বীনের দাওয়াত পাওয়া এবং তাবলিগের কাজে অংশ নেওয়া, যা আমাকে আত্মিক প্রশান্তি দিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পিকনিক আর ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আজীবন মনে থাকবে। তবে একইসঙ্গে পড়াশোনা, টিউশনি আর ব্যবসা সামলানো ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। তবুও এই অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে শক্ত করেছে, বড় স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছে।
আজ গ্রাজুয়েশন শেষ করে মনে হচ্ছে—এই পথচলার প্রতিটি সংগ্রাম আসলে ছিল আশীর্বাদ। কারণ এগুলোই আমাকে আজকের আমি বানিয়েছে। সামনে আমার লক্ষ্য একটি ভালো চাকরি, পাশাপাশি অনলাইন ব্যবসা ও আধুনিক কৃষিকাজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নও বাস্তবায়ন করা।
জুনিয়রদের আমার জায়গা থেকে আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই—হাল ছেড়ো না ,স্বপ্ন বড় রাখো, পরিশ্রম করো, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। একদিন এর ফল আসবেই।
(লেখক: মো. মাসুদ রানা, শিক্ষার্থী, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)
সংগ্রাম অনুপ্রেরণার উৎস
গ্রাম থেকে আসা এক স্বপ্নবাজ তরুণ হিসেবে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুটা খুব সহজ ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ না পাওয়ায় একসময় হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে যবিপ্রবিতে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করি।
এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শুধু জ্ঞানই দেয়নি, বরং শিখিয়েছে কীভাবে মানুষ হতে হয়। শিক্ষকদের সান্নিধ্য, সিনিয়রদের দিকনির্দেশনা আর বন্ধুদের ভালোবাসা আমাকে গড়ে তুলেছে। কোয়ান্টাম মেটেরিয়াল সিমুলেশন ল্যাবে কাজ করে গবেষণার অভিজ্ঞতা পেয়েছি, চারটি কনফারেন্স পেপার উপস্থাপনের সুযোগ হয়েছে। লা টেক্স, পাইথন, ডেটা বিশ্লেষণ -এর মতো টেকনিক্যাল স্কিলের পাশাপাশি নেতৃত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতাও অর্জন করেছি।
তবে এই পথচলা ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। পরিবার থেকে দূরে থাকা, আর্থিক চাপ সামলাতে টিউশনি করা, দিনরাত অ্যাসাইনমেন্ট আর পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকা—এসবের মাঝেও স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হয়েছে। অনেক রাত ঘুমহীন কেটেছে, অনেক আনন্দের মুহূর্ত আবার বন্ধুদের আড্ডা, পিকনিক আর শহরের উজ্জ্বল রাতগুলোতে খুঁজে পেয়েছি।
আজ যখন গ্র্যাজুয়েশন শেষ করছি, মনে হচ্ছে সময়টা কত দ্রুত কেটে গেল! আনন্দ–দুঃখ, সাফল্য–ব্যর্থতা মিলে এই চার-পাঁচটা বছরই হয়তো আমার জীবনের সেরা সময়। ভবিষ্যতের পথে আমার স্বপ্ন উচ্চশিক্ষা আর একটি সম্মানজনক সরকারি চাকরি। এখানে শেখা ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আর প্রোডাক্টিভ কাজ করার অভ্যাসকে পুঁজি করে আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
শেষে শুধু এটুকুই বলব—এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যে অভিজ্ঞতা আর স্মৃতি উপহার দিয়েছে, তা সারাজীবন আমার সঙ্গী হয়ে থাকবে।
(লেখক: মিনহাজুল ইসলাম নাঈম, শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ)
গড়পড়তা হওয়ার কোনো জায়গা নেই
ভর্তির শুরুটা আমার জন্য সহজ ছিল না। শহরে পরিবারের সঙ্গে থেকেও কোথাও সুযোগ না পাওয়া, ওয়েটিং লিস্টে অপেক্ষা করা—এসবের পর অবশেষে যখন নবম অবস্থানে সুযোগ পেলাম, তখন চারপাশের সবাই আমাকে ভীষণ আদর-যত্ন আর ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিল। সেদিনের আনন্দ এখনো স্পষ্ট মনে আছে, বিশেষ করে আম্মুর চোখে খুশির ঝিলিক।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন আমাকে উপহার দিয়েছে একটি বড় বন্ধুমহল, ফ্যাকাল্টিতে আলাদা একটা পরিচয় এবং কিছু অসাধারণ শিক্ষক—যারা আমার ক্যারিয়ার গড়ার পথে দিশা দেখিয়েছেন। নিজের শহরে থেকে পরিবারকে পাশে পেয়েছি। তাই কোনো ত্যাগের বোঝা বইতে হয়নি। বরং পেয়েছি সত্যিকারের কিছু বন্ধু, যাদের জন্য আজও আমি গর্বিত।
আবার কষ্টের মুহূর্তও ছিল। তবে সব বাধা পেরিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষে কাঙ্ক্ষিত সিজিপিএ পাওয়াটা ছিল জীবনের এক অনন্য অর্জন। ভবিষ্যতের স্বপ্ন সবসময় ছিল উচ্চশিক্ষা। আজ আমি সেই পথে এগিয়েছি—মালয়েশিয়ায় ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছি এবং শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আমি শুধু বলতে চাই, সবার মাঝে আলাদা হয়ে তারার মতো জ্বলে উঠতে হবে। গড়পড়তা হওয়ার কোনো জায়গা নেই। আলাদা হতে চাইলে ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এই গুণগুলোই সফলতার আসল চাবিকাঠি।
(লেখক: সামিয়া জামান, শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ বন র স বন ধ দ র আল ল হ আম র জ র জন য র জ বন পর ক ষ পর ব র ব যবস ট উশন আনন দ সবচ য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে