রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা করেছে বামপন্থি শিক্ষার্থীদের জোট ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষর্থী পর্ষদ’।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র পরিষদের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন।

আরো পড়ুন:

“আপনারা ব্যাক্তির বিচার চাচ্ছেন, আমরা অপরাধের বিচার করতে চাচ্ছি”

রাকসু নির্বাচন; ১২৩৩ মনোনয়ন বিতরণ, দাখিল ৯২৫

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নিয়ে এই প্যানেল করা হয়েছে।

প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো.

কাউছার আহম্মেদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নাসিম সরকার নির্বাচনে অংশ নিবেন।

এছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে তারেক আশরাফ, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শ্রেয়সী রায়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. হাসান শাহরিয়ার খন্দকার আলিফ, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. সজীব আলী, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাহিম মুনতাসির রাফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুনতাসির তাসিন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রিসার্চ চাকমা, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজমাইন আতিক, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে শামীন ত্রিপুরা লড়াই করবেন।

নির্বাহী সদস্যের চারটি পদে আসাদ সাদিক রাফি, আহমেদ ইমতিয়াজ সৈকত, মো. সাজ্জাদ শেখ ও মো. জুনায়েদ এবং  সিনেটের পাঁচটি ছাত্রপ্রতিনিধি পদে মো. হাসান শাহরিয়ার খন্দকার আলিফ আসাদ সাদিক রাফি, মো. কাউছার আহম্মেদ, ফুয়াদ রাতুল ও ফাহিম মুনতাসির রাফিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

এ সময় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মনোনীত সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “রাকসু শিক্ষার্থীদের সংগঠন। এর সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি পদাধিকার বলে রাকসুর সভাপতি। আমরা নির্বাচিত হলে সভাপতির ক্ষমতা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় বা সভাপতির আসনে কিভাবে শিক্ষার্থীদের আসীন করা যায়, তা চেষ্টা করব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ