সৎ ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে মামুন মাহমুদের আহবান
Published: 8th, September 2025 GMT
সাহসীকতার সাথে সৎ ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্যও উদাত্ত্ব আহবান জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক দৈনিক বাংলা পত্রিকার চতুর্থতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুুপুরে দৈনিক বাংলা পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো, লতিফ আহমেদ আকাশ স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এসময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসন, পেশাজীবি সংগঠন থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা দৈনিক বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোকপাত করেন।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদও দৈনিক বাংলার কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছোটকালে যখন বাসায় পত্রিকা রাখতো তখন বাবাকে দেখতাম দৈনিক বাংলা পত্রিকা রাখতে। ছাত্র জীবনেও বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক বাংলা দেখতাম। দৈনিক বাংলা ছিলো একটা ব্রান্ড। দৈনিক বাংলার নামে এখনো ঢাকায় একটি মোড় রয়েছে।
দৈনিক বাংলা একটি জাতীয় দৈনিক এবং এই পত্রিকার নিউজের গুরুত্ব অনেক বেশী তাই আবেগের বসে কোন নিউজ না করে সত্য উদঘাটনমূলক সংবাদ পরিবেশন করতেও বলেন তিনি।
দৈনিক বাংলা পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো.
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নিউ নেশন ও আলোকিত বাংলাদেশ এর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ শাওন, বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এস. কে মাসুদ রানা, দৈনিক সমকাল এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি শাহজাহান জনি, কালের কন্ঠ পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি রাসেল আহমেদ, দৈনিক এশিয়া বাণী ও মুসলিম টাইমস সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মো. খালিদ রাসেল, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি গাজী সোহেল, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেম মুন্না, দৈনিক স্বাধীনমত এর প্রতিনিধি সম্রাট আকবর প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।