মামলা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বন্দরে তদন্ত শুরু
Published: 8th, September 2025 GMT
বন্দরে বৈষম্য বিরোধী মামলায় আসামী করে হয়রানির অভিযোগে ডিআইজি, সেনা বাহিনী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সোমবার পুলিশ সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। মূলত: ছেলে হত্যার বিচার চাওয়ায় বন্দরের নয়ামটি ভাংতি এলাকার রহিম বাদশাকে প্রতিপক্ষরা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করে এলাকা থেকে দুরে সরিয়ে রেখে বাড়ি জবর দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাই এ হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে রহিম বাদশার স্ত্রী মোক্তারা বেগম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, সেনা প্রধান, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরার অভিযোগ করেন। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দরের ধামগড় নয়মাটি এলাকার দিন মজুর রহিম বাদশার ছেলে সুমন হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেন।
এ মামলা থেকে বাদীকে দুরে রাখার জন্য যাতে তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় সে জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তারা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকার আ: রাজ্জাক মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, বন্দরের নয়মাটি এলাকার রফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ইমান আলী, কবির হোসেনের ছেলে খোরশেদ ও আহাম্মদ মিয়ার ছেলে অভিউল্রাহ অলু। তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু আওয়ামীলীগ পতনের পর তারা বোল পাল্টে বিএনপি সেজে বিভিন্ন জনকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে এবং মামলা থেকে বাদ দিতে মামলা বাণিজ্য করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসকল মামলার দালালরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি মামলায় নাম দিয়ে হয়রানি শুরু করে।
যাতে আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাইতে আদালতে না যেতে পারি। আমার স্বামী কোন রাজনীতি করেন না এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত নয়।
ইতিমধ্যে বিবাদীরা আমাদের মামলা দিয়ে দুরে রেখে আমাদের বাড়ির ৩ শতাংশ জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে এবং বাকি বাড়ি টুকু জবর দখলের পায়তারা করছে। মোক্তারা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গতকাল পুলিশ সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত করেন। এ সময় বিবাদীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সরে যান।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ তদন ত শ র এল ক র হয়র ন
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে