বন্দরে বৈষম্য বিরোধী মামলায় আসামী করে হয়রানির অভিযোগে ডিআইজি, সেনা বাহিনী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

সোমবার পুলিশ সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। মূলত: ছেলে হত্যার বিচার চাওয়ায় বন্দরের নয়ামটি ভাংতি এলাকার রহিম বাদশাকে প্রতিপক্ষরা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করে এলাকা থেকে দুরে সরিয়ে রেখে বাড়ি জবর দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাই এ হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে রহিম বাদশার স্ত্রী মোক্তারা বেগম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, সেনা প্রধান, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরার অভিযোগ করেন। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দরের ধামগড় নয়মাটি এলাকার দিন মজুর রহিম বাদশার ছেলে সুমন হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেন।

এ মামলা থেকে বাদীকে দুরে রাখার জন্য যাতে তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় সে জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তারা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকার আ: রাজ্জাক মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, বন্দরের নয়মাটি এলাকার রফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ইমান আলী, কবির হোসেনের ছেলে খোরশেদ ও আহাম্মদ মিয়ার ছেলে অভিউল্রাহ অলু। তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু আওয়ামীলীগ পতনের পর তারা বোল পাল্টে বিএনপি সেজে বিভিন্ন জনকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে এবং মামলা থেকে বাদ দিতে মামলা বাণিজ্য করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসকল মামলার দালালরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় একটি মামলায় নাম দিয়ে হয়রানি শুরু করে।

যাতে আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাইতে আদালতে না যেতে পারি। আমার স্বামী কোন রাজনীতি করেন না এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত নয়।

ইতিমধ্যে বিবাদীরা আমাদের মামলা দিয়ে দুরে রেখে আমাদের বাড়ির ৩ শতাংশ জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে এবং বাকি বাড়ি টুকু জবর দখলের পায়তারা করছে। মোক্তারা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

গতকাল পুলিশ সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত করেন। এ সময় বিবাদীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সরে যান।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ তদন ত শ র এল ক র হয়র ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিপ্রবিতে ‘ফ্রম ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’ বিষয়ক সেমিনার

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) ক্যারিয়ার গঠনে ‘ফ্রম ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর সভা কক্ষে ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সোসাইটির (এমবিএস) আয়োজনে এবং খাগড়াছড়ির অ্যাডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি: ইউপিডিএফ

রাঙামাটিতে পিসিসিপির ডাকা হরতাল প্রত্যাহার

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, “যেকোনো ক্যারিয়ারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গকে- অন্তর্ভুক্তি, স্বাধীনতা এবং প্রাধিকার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যে চাকরিতে এই তিনটি জিনিস থাকবে, সেসব চাকরি স্বাচ্ছন্দ্য ও মর্যাদাপূর্ণ হবে।”

শিক্ষার্থীদেরকে তাদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্কিলে উন্নত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “দক্ষতার ঘাটতিগুলো শনাক্ত করে সেগুলো কাটিয়ে উঠে নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততা দিয়ে ক্যারিয়ারে সফল হতে হবে। এছাড়াও নিজেদের যে পেশায় আগ্রহ ও দক্ষতা আছে, তা বেছে নিতে হবে।”

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুনাইদ কবির, প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রহিম উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার প্রমুখ।

এছাড়া অ্যাডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের সিইও আমির হোসেন রোজেলসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারা ক্যারিয়ার গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা/শংকর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ