বন্দরে আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
Published: 9th, September 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বন্দরে ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নূর উদ্দিন (৬৮) ও জজ মিয়া (৫৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামীলীগ নেতা নূর উদ্দিন বন্দর থানার ফুলহর দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত মুল্লুক চাঁন মিয়ার ছেলে ও অপর ধৃত আওয়ামীলীগ নেতা জজ মিয়া সিদ্বিরগঞ্জ থানার এনায়েতনগর এলকার মৃত নুরুল হুদা মিয়ার ছেলে। সে র্দীঘ দিন ধরে তার পরিবার পরিজন নিয়ে বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকায় বসবাস করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(৯)২৪ নং মামলায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (৮ সেপ্টম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ ইং সালের ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বন্দর খেয়াঘাটে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মারামারি ঘটনায় বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ৫৯৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরোও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
বিএনপি দল হিসেবে ‘সবচেয়ে আগে সংস্কারের কথা বলেছে’ উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে একটা অত্যন্ত পরিকল্পিত প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না। বিএনপি সংস্কারের বিরোধী।’
প্রবাসে বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছে, কাজ শুরু করেছে এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কারের শুরুটা কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) হাত দিয়েই। তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থায় গিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় গিয়েছিলেন। তিনি গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।...তার সময় কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ নতুন সংস্কার নিয়ে নতুন কাজ শুরু হয়। একটা বদ্ধ অর্থনীতি থেকে আমরা একটা উন্মুক্ত অর্থনীতিতে, একটা ফ্রি মার্কেট ইকোনমিতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম তার নেতৃত্বে।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রেসিডেন্ট ফর্ম অব গভর্নমেন্ট (রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থা) থেকে পার্লামেন্ট ফর্ম অব গভর্নমেন্ট (সংসদীয় ব্যবস্থা) নিয়ে এসেছিলেন।’
বর্তমান সময়কে প্রযুক্তির সময় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির নেতা–কর্মীদের আরও বেশি প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্য পদ গ্রহণ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।