ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে তিনটি মহাসড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন এলাকাবাসী। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।  ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল এবং ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা ভাঙ্গার একাধিক স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি, হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, মানিকদহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া এবং ভাঙ্গা পৌরসভার হাসপাতাল মোড়।  নতুন স্পট হিসেবে যোগ হয়েছে মাধবপুর ও নওপাড়া বাসস্ট্যান্ড। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে আধাবেলা সড়ক অবরোধ 

৪১ ঘণ্টা পর রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু

হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদের যুবক আব্দুল করিম বলেন, “নির্বচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। ভাঙ্গা উপজেলার ঐক্য ভাঙলে স্থানীয় সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। দাবি না মানলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে।”

হামিরদী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ বলেন, “ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পরিবর্তন আমাদের ভোটাধিকারকে প্রভাবিত করবে।”

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বলেন, ‍“আজকের অবরোধ গতকালের চেয়ে বেশি তীব্র। স্থানীয়রা দুটি ইউনিয়নের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে সবদিক থেকে রাস্তা অবরোধ করেছেন। পুলিশ যথাসাধ্য শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে।”

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আশরাফ হোসেন বলেন, “বিক্ষোভকারীরা সকাল থেকে সড়কে অবস্থান করছেন। তারা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার চেষ্টা চলছে, এখনো কোনো সমাধান হয়নি।"

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক গেজেট অনুসারে, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে যুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়রা এই সিদ্ধান্তকে ভাঙ্গা উপজেলার অখণ্ডতা ভঙ্গকারী বলে মনে করছেন এবং দাবি করছেন, ভাঙ্গাকে পৃথক ফরিদপুর-৫ আসন হিসেবে পুনর্বহাল করা হোক। তাদের মতে, এই পরিবর্তন স্থানীয় প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন অবর ধ সড়ক অবর ধ উপজ ল র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ