পুঁজিবাজারে ট্যানারি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক ও ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭২তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি: ৩১ কোটি টাকা জরিমানা

নিউ লাইন ক্লোথিংয়ের শেয়ার কারসাজি: ১৩ কোটি টাকা জরিমানা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উক্ত শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে জড়িত থাকায় মো. আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে আবুল খায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বরাবর চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র অনুসারে, আবুল খায়ের হিরু অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে সংঘটিত কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটি। এ অবস্থায় আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচিত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠাবে বিএসইসি। এছাড়া একই শেয়ারের লেনদেন কারসাজিতে সংশ্লিষ্টতার থাকা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জড়িত কর্মকর্তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ক রস জ ক রস জ ত ব যবস থ ব এসইস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
  • ২২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেবে বিএসইসি
  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
  • বিএসইসির তদন্তের মুখে ভ্যানগার্ড ও ক্যাপিটেক অ্যাসেট
  • দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে পুঁজিবাজার ও বন্ডকে ব্যবহারের প্রস্তাব
  • ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ জনকে দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড