জাকসু নির্বাচন: মেয়েদের ১০ কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল
Published: 11th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনে ২১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মেয়েদের কেন্দ্রগুলোর কাস্টিং ভোটের প্রাথমিক তথ্য এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরপর ব্যালট বাক্স সিলগালা করে নেওয়া হয়েছে সিনেট ভবনে সেখানে গণনা সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরো পড়ুন:
জাকসু নির্বাচন: প্রগতিশীল চার প্যানেলের পুননির্বাচনের দাবি
জাকসুর নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি আবাসিক হল। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি এবং মেয়েদের ১০টি। জাকসু নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিটি হলকে কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে একাধিক বুধ স্থাপন করে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
জাকসুর নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মেয়েদের ১০টি হলের কোনটিতে কত ভোট পড়েছে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে মোট ভোটার ২৮০, কাস্ট হয়েছে ১৩৭ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ।
বেগম খালেদা জিয়া হলে মোট ভোটার ৪০৯, কাস্ট হয়েছে ২৪৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।
১৩ নম্বর ছাত্রী হলে মোট ভোটার ৫১৯, কাস্ট হয়েছে ২৯২ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ।
বেগম সুফিয়া কামাল হলে মোট ভোটার ৪৫৬, কাস্ট হয়েছে ২৪৬ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৩ শতাংশ।
জাহানারা ইমামন হলে মোট ভোটার ৩৬৭, কাস্ট হয়েছে ২৪৭। ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।
প্রীতিলতা হলে মোট ভোটার ৩৯৬, কাস্ট হয়েছে ২৫০, ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলে মোট ভোটার ৫৭১, কাস্ট হয়েছে ৩৫০, ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ।
রোকেয়া হলে মোট ভোটার ৯৫৫, কাস্ট হয়েছে ৬৭৫টি। ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ।
ফজিলাতুন্নেছা হলে মোট ভোটার ৮০৩, কাস্ট হয়েছে ৪৮৯, ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।
তারামন বিবি হলে মোট ভোট ৯৮৫, কাস্ট হয়েছে ৫৯৫, ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশ।
মেয়ের ১০টি হলে ভোট হার প্রায় ৬০ শতাংশের মতো। ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা/আহসান/সাব্বির/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবারও এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।
নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে মো. আরিফুল নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর তিন মাসের মাথায় আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
ভবনটির নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ চলছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই বহুতল ভবনটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মধ্যে কাজ চলছিল। ভবনটির বাইরের কাজ শেষ তাই ‘সেফটি নেট’ খুলে ফেলা হয়েছে।
মো. আজিজ জানান, রাকিবের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনটিতে কর্মরত ফোরম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা বারবার তাদেরকে যথাযথ সেফটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিত করে তারপর কাজ করতে বলি। কিন্তু অনেক সময় এসব কর্মচারীরা মানে না। এ বিষয়ে প্রকল্প অফিস ও প্রশাসন থেকে বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’