জাকসু নির্বাচন: কত শতাংশ ভোট পড়ল?
Published: 11th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনে ২১টি ভোটকেন্দ্রে কাস্টিং ভোটের প্রাথমিক তথ্য এসেছে। জাকসু নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভোট পড়েছে মোট ভোটের ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।
জাকস ও হল সংসদে ছাত্র-ছাত্রী মিলে এবার মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৫৯ জন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র বলছে, মোট ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৮ হাজার ২৬ জন।
আরো পড়ুন:
জাকসু নির্বাচন: ভোট গণনা শুরু হয়নি এখনো
জাকসু নির্বাচন: মেয়েদের ১০ কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরপর ব্যালট বাক্স সিলগালা করে নেওয়া হয়েছে সিনেট ভবনে সেখানে গণনা সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি আবাসিক হল। জাকসুর নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিটি হলকে কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে একাধিক বুধ স্থাপন করে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন হলে কত শতাংশ ভোট পড়েছে।
আলবেরুনী হলে মোট ২১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৫ জন, ভোট পড়েছে ৫৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের মোট ৩৩৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২১৬ জন, ভোট পড়েছে ৬৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
র মশাররফ হোসেন হলের মোট ভোটার ৪৬৪ জন, ভোটা দিয়েছেন ৩১০ জন। এই হলে ৬৬ দশমিক ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে মোট ভোটার ২৮০, ভোট পড়েছে ১৩৮টি। ভোটদানের হার ৪৯ দশমিক ২৯। এই হলে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে।
শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২২৪ জন। এখানে ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮৪ জন ভোট দিয়েছেন, অংশগ্রহণের হার ৭৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জনের মধ্যে ২৪৭ জন ভোট দিয়েছেন, ভোট পড়েছে ৬৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটারের মধ্যে ২৫০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, ভোট পড়েছে ৬২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৪৯, অংশগ্রহণ করেছেন ৬০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
১০ নং (ছাত্র) হলে ৫২২ ভোটারের মধ্যে ৩৮১ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটে অংশ নিয়েছেন ৭২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৭০ জন, অর্থাৎ ৭২ দশমিক ২০ শতাংশ।
বেগম সুফিয়া কামাল হলের ৪৫৬ ভোটারের মধ্যে মাত্র ২৪৬ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ৫৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জনের মধ্যে ২৯২ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ৫৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ ভোটারের মধ্যে ৩৫০ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ গৃহীত ভোট ৬১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৬১টি, অংশগ্রহণ ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
রোকেয়া হলে ৯৫৫ জনের মধ্যে ৬৮০ জন ভোট দিয়েছেন, অংশগ্রহণ ৭১ দশমিক ২০ শতাংশ।
ফজিলতুন্নেসা হলে ৮০৩ ভোটারের মধ্যে ৪৮৯ জন ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ গৃহীত ভোট ৬০ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৯৮৪ জনের মধ্যে ৫৯৫ জন ভোট দিয়েছেন, অংশগ্রহণ ৬০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ ভোটারের মধ্যে ৫৬০ জন ভোট দিয়েছেন, অংশগ্রহণ ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে সর্বাধিক অংশগ্রহণ দেখা গেছে। ৯৯১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮০৭ জন, ভোট পড়েছে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৫২ জন, অংশগ্রহণ ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের পর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে (৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ) এবং ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ৪৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন ভ ট দ য় ছ ন অর থ ৎ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স
রাজধানী ঢাকায় অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশি আবেদনকারীদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য আবেদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের র্যাংগস জেড স্কয়ারে এ কেন্দ্র গত মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।
আবেদনকারীরা বুধবার থেকে ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে এ কেন্দ্রে তাদের ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশিদের ভ্রমণের সুবিধা আর দক্ষতা বাড়ানো।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এর ফলে দৈনিক আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা বাড়বে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অপেক্ষার সময় কমবে, অর্থ প্রদানের বিকল্পগুলো আধুনিকীকরণ হবে এবং একটি বিশেষায়িত কেন্দ্রের মাধ্যমে আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।
ভিএফএস গ্লোবাল ২০০৪ সাল থেকে ভিসা প্রক্রিয়া করার কাজে ফরাসি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। বর্তমানে ২৯টি দেশে ফ্রান্সের জন্য ৭০টি ভিসা কেন্দ্র পরিচালনা করছে তারা।
ভিএফএস গ্লোবাল জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা কেবল আবেদনপত্র সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির মতো প্রশাসনিক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
শেনজেন ব্যবস্থার আওতায় ভিসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, অনুমোদন ও প্রত্যাখ্যান করা ফরাসি দূতাবাসের এখতিয়ারভুক্ত।
নতুন এ আবেদন কেন্দ্রটি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/fra এই ঠিকানায়।