সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতার ২টি অবৈধ চুনা তৈরির কারখানা সহ তিনটি চুনা কারখানা ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফের ২ টি চুনা ফ্যাক্টরি ও প্রতাপের চর এলাকার ১ টি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী  ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মনিজা খাতুন।

সিনিয়র সহকারী সচিব মনিজা খাতুন বলেন, “অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে এসব অবৈধ কারখানার মালিক।

কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ চুন কারখানা গুলোর মালিকগণকে স্পটে না পাওয়ার কারণে কোন জেল, জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা সহ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এ সময় উপস্থিত তিতাসের গজারিয়া জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরজিৎ কুমার সাহা বলেন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ও পেট্রোবাংলার বিশেষ ভিজিলেন্স টিমের উপস্থিতে উক্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

আষাঢ়িয়ার চর মহাসড়কের পাশে ২ টি ও প্রতাবনগর এলাকায় ১টি সহ ৩টি অবৈধ আবাসিক এলাকার গ্যাস চুন কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, এছাড়াও পেট্রোবাংলার বিশেষ ভিজিলেন্স টিম গজারিয়ায় উপজেলায় ইতিপূর্বে উচ্ছেদকৃত ৭টি চুন কারখানা পরিদর্শন করেছে, যা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ