ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ১৫
Published: 13th, September 2025 GMT
মাদারীপুরে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার ঘটকচর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয় চন্দ্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। ঘটকচর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী গ্রীনভিউ পরিবহনের অপর একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি খাদে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
আরো পড়ুন:
কাভার্ডভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, বাবা-মেয়ের মৃত্যু
মদ্যপ ছিলেন চালক, দোকানে গাড়ি ঢুকে নিহত ১
এ ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে হাইওয়ে পুলিশ, থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রীনভিউ পরিবহনের বাসটি একটি ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে চন্দ্রা পরিবহনের বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা আসার আগেই আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে চন্দ্রা পরিবহনের চালকের অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’’
ঢাকা/বেলাল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত পর বহন র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।