সার আমদানিতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করায় কিছু মহল উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে সার আমদানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সারের জন্য প্রতিটি দেশে একক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সকল আমদানিকারকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এতে কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের স্বচ্ছ ও দৃঢ় অবস্থানের ফলে সার আমদানিতে অতীতে সক্রিয় কিছু সিন্ডিকেট তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এসব মহল এখন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে বর্তমান সরকার একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এর অন্যতম অংশীদার হিসেবে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

সার্বিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কৃষি মন্ত্রণালয় গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানায় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গত এক বছরে কৃষি খাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজ, ধান, আমসহ বিভিন্ন ফসল ও ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এমনকি প্রতিকূল সময়েও সার সরবরাহ অব্যাহত থাকায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোর গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো সংবাদ প্রচার বা প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবারও এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।

নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে মো. আরিফুল নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর তিন মাসের মাথায় আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো।

ভবনটির নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।

ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ চলছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই বহুতল ভবনটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মধ্যে কাজ চলছিল। ভবনটির বাইরের কাজ শেষ তাই ‘সেফটি নেট’ খুলে ফেলা হয়েছে।

মো. আজিজ জানান, রাকিবের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনটিতে কর্মরত ফোরম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা বারবার তাদেরকে যথাযথ সেফটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিত করে তারপর কাজ করতে বলি। কিন্তু অনেক সময় এসব কর্মচারীরা মানে না। এ বিষয়ে প্রকল্প অফিস ও প্রশাসন থেকে বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত