এবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার
Published: 16th, September 2025 GMT
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউরোপকে সম্পদ দখলের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাশিয়া বলেছে, তাদের সম্পদ দখলের চেষ্টা করলে যেকোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কয়েক শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সহায়তা করার নতুন উপায় খুঁজছে।
২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করে এবং রাশিয়ার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার জব্দ করে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন চান, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যয় মেটানোর জন্য রাশিয়ার জব্দ করা অর্থ ব্যবহার করার নতুন উপায় খুঁজে বের করুক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা থাকা রাশিয়ার অর্থ ব্যবহার করে ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিপূরণ ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইউরোপীয় কমিশন।
এ প্রসঙ্গে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, রাশিয়ার সম্পদ দখল করলে এই শতকের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে তাড়া করবে রাশিয়া। এর পাশাপাশি যারা রাশিয়ার সম্পদ দখলে জড়িত থাকবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোকেও ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভাব্য সব উপায়ে, সব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আদালতে এবং আদালতের বাইরেও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোকে তাড়া করবে। মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাশিয়ার দাবি, তাদের সম্পদ দখল মানে পশ্চিমাদের চুরি করা। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বন্ড ও মুদ্রার ওপর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইউক্রেন ধ্বংসের জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাই মস্কোর সঙ্গে জোর করে হলেও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। তবে কিছু ব্যাংকার সতর্ক করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দের নজির বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে পশ্চিমা দেশগুলোর বন্ড কেনায় নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগে আস্থা কমতে পারে।
মেদভেদেভ এ মাসের শুরুর দিকে বলেছিলেন, রাশিয়া আরও ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করবে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের সম্পদ দখলের পথেও হাঁটবে। এর আগে লন্ডন জানায়, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে সংগৃহীত প্রায় ১৩০ কোটি ডলার ইউক্রেনের অস্ত্র কেনায় তারা ব্যয় করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, পশ্চিমারা রাশিয়ার অর্থনীতিতে মোট ২৮৫ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ করেছে। রাশিয়ার সম্পদ দখল হলে পশ্চিমাদের এ বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
‘কিয়েভের উসকানি’রোমানিয়ায় ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনাকে ইউক্রেনের উসকানি বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। রোমানিয়ার রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনায় দেশটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। রোমানিয়ায় অবস্থিত রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে ইউক্রেনের উসকানি বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির লিপায়েভ বলেন, ড্রোন অনুপ্রবেশের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রগ ল ইউক র ন র ইউর প য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন