বিদেশে অবস্থানরত হামাস নেতাদের ওপর আরো হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
Published: 16th, September 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারে গত সপ্তাহের হামলার পরও বিদেশে হামাস নেতাদের ওপর আরো হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস নেতারা ‘যেখানেই থাকুক না কেন’ তারা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। প্রতিটি দেশ সীমান্তের বাইরেও আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।”
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের টার্গেট করে ইসরায়েলের হামলায় ছয়জন নিহত হন, তবে শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। এ ঘটনায় কাতারসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। পাশাপাশি তিনি কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় কোনোভাবে যুক্ত ছিল কিনা জানতে চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরাই এ হামলা চালিয়েছি, আর কেউ নয়।”
তবে এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন হয়নি বলে দাবি করেছেন মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে শক্ত সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন- দ্বৈত মানসিকতা বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার। আরব দেশগুলোর নেতারাও কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বিমানঘাঁটি রয়েছে। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়ও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটি ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের আবাসস্থল হয়ে আছে এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল সফর শেষ করে রুবিও কাতারে যাবেন।
রুবিওর এবারের ইসরায়েল সফরে গাজা দখলের ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনা এবং পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ ইস্যুও আলোচনায় এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল গাজা সিটির আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে পশ্চিমাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয় সূত্র মতে, প্রায় আড়াই লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে, তবে অনেকেই অর্থাভাবে যেতে পারেনি।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় খাদ্যাভাব ও মানবিক বিপর্যয় আরো গভীর হবে যদি হামলা বাড়ানো হয়।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।