ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারে গত সপ্তাহের হামলার পরও বিদেশে হামাস নেতাদের ওপর আরো হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস নেতারা ‘যেখানেই থাকুক না কেন’ তারা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। প্রতিটি দেশ সীমান্তের বাইরেও আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।”

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো গভীর বাণিজ্য সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের টার্গেট করে ইসরায়েলের হামলায় ছয়জন নিহত হন, তবে শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। এ ঘটনায় কাতারসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। পাশাপাশি তিনি কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না।

সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় কোনোভাবে যুক্ত ছিল কিনা জানতে চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরাই এ হামলা চালিয়েছি, আর কেউ নয়।” 

তবে এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন হয়নি বলে দাবি করেছেন মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে শক্ত সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন- দ্বৈত মানসিকতা বন্ধ করে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার। আরব দেশগুলোর নেতারাও কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বিমানঘাঁটি রয়েছে। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়ও কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটি ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের আবাসস্থল হয়ে আছে এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল সফর শেষ করে রুবিও কাতারে যাবেন।

রুবিওর এবারের ইসরায়েল সফরে গাজা দখলের ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনা এবং পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ ইস্যুও আলোচনায় এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল গাজা সিটির আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে পশ্চিমাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয় সূত্র মতে, প্রায় আড়াই লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে, তবে অনেকেই অর্থাভাবে যেতে পারেনি।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় খাদ্যাভাব ও মানবিক বিপর্যয় আরো গভীর হবে যদি হামলা বাড়ানো হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলনে রাজধানীতে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ যানজট, ডিএমপির দুঃখপ্রকাশ

বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো অবরোধ করে যে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে যানজট বাড়ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

রবিবার (২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় ডিএমপি।

আরো পড়ুন:

খেতুরে এবার ব্যাপক দর্শনার্থী সমাগম, দীর্ঘ যানজট

যানজটে আটকা পড়লেন সড়ক উপদেষ্টা 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এমপিও ভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিও ভুক্তকরণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে। এছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। যার ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।”

“শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তথাপি অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যানজট বৃদ্ধির ফলে যে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছে সেজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ