চোটে চুরমার হয়েছিল ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথও ছেড়ে এসেছেন অনেক দিন। শেষ পর্যন্ত হয়েছেন পরিচালক। সময়ের আলোচিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ সাসপেন্স ও টুইস্টে ভরপুর গল্পের জন্যই পরিচিত বেশি। নতুন কাজ নিয়ে আসছেন ভিকি। এবারও কি আগের ধারাতেই থাকছেন, নাকি দর্শকের জন্য অপেক্ষা করছে ভিন্ন কোনো স্বাদ? আগামীকালই মিলবে সে প্রশ্নের উত্তর, চরকিতে মুক্তি পাবে ভিকি জাহেদের ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘অন্ধ বালক’।
গল্পে কী আছে
গল্পটি লিখেছেন নাজিম-উদ-দৌলা। নির্মাতা মনে করেন, প্রেম ও পরিণতির গল্প হলেও এটির যাত্রাপথ আলাদা। এখানে ভাগ্য, ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপোড়েন রয়েছে। তাই অন্ধ বালক কেবল ভালোবাসার গল্প নয়, ভেতরে লুকিয়ে আছে অনিশ্চয়তার ছায়া। ভিকি জাহেদ বলেন, ‘শর্টফিল্ম থেকেই আমার যাত্রা শুরু, তাই স্বভাবতই চরকির ফ্ল্যাশ ফিকশন প্রজেক্টে আগ্রহী হই। আমার বিশ্বাস, একেবারেই ভিন্ন স্বাদের একটি গল্প দেখতে পাবেন দর্শক। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এর শুট হয়েছিল।’
চরিত্র ও অভিনয়
অন্ধ বালক-এ অর্ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব; দিনা চরিত্রে আছেন সাদিয়া আয়মান। অর্ক-দিনার প্রেমের মাঝখানে হঠাৎই চলে আসে ‘অন্ধ বালক’-এর প্রসঙ্গ। কেননা দিনার বাবা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে অন্ধ এক তরুণের বিয়ে হবে। বাবার ভবিষ্যদ্বাণীর সূত্রে অর্ক-দিনার সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়। দিনার বিশ্বাস এই ফাটলকে আরও গভীর করতে থাকে।
সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘ভিকি ভাইয়ের পরিচালনায় এটি আমার প্রথম কাজ। অর্ককে ভালোবাসে দিনা, আবার বাবারও সে ভীষণ বাধ্য সন্তান। বাবার সঙ্গে অর্কর নানা সমীকরণের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে দিনা। দর্শক কনটেন্টটি পছন্দ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ প্রকল্পটি নিয়ে সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কাজটি গত বছর করেছিলাম। এখনো কনটেন্টটি দেখার সুযোগ হয়নি। তবে তৌসিফ ভাই জানিয়েছেন, আমার কাজ নাকি খুব ভালো হয়েছে।’
‘অন্ধ বালক’–এ তৌসিফ ও সাদিয়া। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫