Prothomalo:
2025-09-17@21:07:16 GMT

তৌসিফ-সাদিয়ার ‘অন্ধ বালক’

Published: 16th, September 2025 GMT

চোটে চুরমার হয়েছিল ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথও ছেড়ে এসেছেন অনেক দিন। শেষ পর্যন্ত হয়েছেন পরিচালক। সময়ের আলোচিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ সাসপেন্স ও টুইস্টে ভরপুর গল্পের জন্যই পরিচিত বেশি। নতুন কাজ নিয়ে আসছেন ভিকি। এবারও কি আগের ধারাতেই থাকছেন, নাকি দর্শকের জন্য অপেক্ষা করছে ভিন্ন কোনো স্বাদ? আগামীকালই মিলবে সে প্রশ্নের উত্তর, চরকিতে মুক্তি পাবে ভিকি জাহেদের ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘অন্ধ বালক’।

গল্পে কী আছে
গল্পটি লিখেছেন নাজিম-উদ-দৌলা। নির্মাতা মনে করেন, প্রেম ও পরিণতির গল্প হলেও এটির যাত্রাপথ আলাদা। এখানে ভাগ্য, ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপোড়েন রয়েছে। তাই অন্ধ বালক কেবল ভালোবাসার গল্প নয়, ভেতরে লুকিয়ে আছে অনিশ্চয়তার ছায়া। ভিকি জাহেদ বলেন, ‘শর্টফিল্ম থেকেই আমার যাত্রা শুরু, তাই স্বভাবতই চরকির ফ্ল্যাশ ফিকশন প্রজেক্টে আগ্রহী হই। আমার বিশ্বাস, একেবারেই ভিন্ন স্বাদের একটি গল্প দেখতে পাবেন দর্শক। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এর শুট হয়েছিল।’

আরও পড়ুনভিকি, নিশো–নাবিলাদের ‘আকা’ দেখে কী বলছেন দর্শকেরা০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চরিত্র ও অভিনয়
অন্ধ বালক-এ অর্ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব; দিনা চরিত্রে আছেন সাদিয়া আয়মান। অর্ক-দিনার প্রেমের মাঝখানে হঠাৎই চলে আসে ‘অন্ধ বালক’-এর প্রসঙ্গ। কেননা দিনার বাবা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে অন্ধ এক তরুণের বিয়ে হবে। বাবার ভবিষ্যদ্বাণীর সূত্রে অর্ক-দিনার সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়। দিনার বিশ্বাস এই ফাটলকে আরও গভীর করতে থাকে।

সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘ভিকি ভাইয়ের পরিচালনায় এটি আমার প্রথম কাজ। অর্ককে ভালোবাসে দিনা, আবার বাবারও সে ভীষণ বাধ্য সন্তান। বাবার সঙ্গে অর্কর নানা সমীকরণের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে দিনা। দর্শক কনটেন্টটি পছন্দ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ প্রকল্পটি নিয়ে সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কাজটি গত বছর করেছিলাম। এখনো কনটেন্টটি দেখার সুযোগ হয়নি। তবে তৌসিফ ভাই জানিয়েছেন, আমার কাজ নাকি খুব ভালো হয়েছে।’

‘অন্ধ বালক’–এ তৌসিফ ও সাদিয়া। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ