প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিফাদ মাহমুদ সিএসএর ভিপি নির্বাচিত
Published: 16th, September 2025 GMT
কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএসএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রিফাদ মাহমুদ। তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ভোটে ভারত, ঘানা ও নাইজেরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন রিফাদ।
সিএসএর ভিপি পদ তিনটি। এর একটিতে জয়ী হয়েছেন রিফাদ। ভাইস প্রেসিডেন্ট-ভিপি (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড পার্টনারশিপশ) পদে জাস্টিস অ্যালর এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট-ভিপি (কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্স) পদে প্রিন্সেস অ্যাকলাতসে জয়ী হয়েছেন। তাঁরা দুজনই ঘানার শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ১০টি পদে ভোট গ্রহণ হয়, যেখানে প্রতিটি দেশের একজন প্রতিনিধি ভোট দেন। এখানে রিফাদের জয় শুধু রিফাদের নয়, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনন্য অর্জন।
রিফাদ বলেছেন, সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পান না। অনেককেই নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে আর্থিক সংকট বড় চ্যালেঞ্জ। এ কারণে বিশ্বে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অন্য শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন একটা কর্মসূচি নিতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা পকেট মানি ও টিফিনের টাকা সঞ্চয় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এখান থেকে এমন একটা তহবিল তৈরি করা যাবে, যেটি আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীর কাজে আসবে। অর্থের অভাবে কেউ যেন লেখাপড়ায় পিছিয়ে না যায়।’
লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অধীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সিএসএ’। রিফাদ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুব প্যানেলে ‘ইইউ ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড’ পর্যবেক্ষণেও কাজ করছেন। এর আগে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা পর্ষদে এবং ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের যুব পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালে রিফাদ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। একই বছর গ্লোবাল ইয়ুথ লিডার সম্মাননা অর্জন করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কমনওয়েলথ গল্প লেখার প্রতিযোগিতা, দেবে ৩টি পুরস্কার
‘কমনওয়েলথ ছোটগল্প পুরস্কার’ একটি বার্ষিক পুরস্কার। এটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হলো, কমনওয়েলথের কথাসাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা ও নতুন লেখকদের উৎসাহিত করা। প্রতিবছর অপ্রকাশিত ছোটগল্পের জন্য এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে এশিয়া অঞ্চল থেকে একজন বাংলাদেশি লেখকও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ ছোটগল্প পুরস্কার প্রতিযোগিতার আবেদন গ্রহণ চলছে। আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। নিজের টাইমজোন অনুযায়ী শেষ সময় জানতে আলাদা লিংক থেকে দেখা যাবে।
প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে অংশগ্রহণ করা যাবে এবং কমনওয়েলথভুক্ত যেকোনো দেশের ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী নাগরিকেরা অংশ নিতে পারবেন। অপ্রকাশিত ছোটগল্পের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। গল্প হতে হবে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার শব্দের মধ্যে। বাংলা, চীনা, ইংরেজিসহ অর্থাৎ মোট ১৩টি ভাষায় গল্প লেখা যাবে।
আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেল প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ২৫টি গল্পের একটি তালিকা করবেন। সেখান থেকে পাঁচটি বিভাগের জন্য পৃথক বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। এর মধ্যে একজন সর্বোচ্চ বিজয়ী, যিনি পাবেন ৫ হাজার পাউন্ড। অন্যান্য বিজয়ীকে দেওয়া হবে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড করে। পাঁচটি গল্পই গ্রান্টা (Granta) ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে।
আবেদন করা যাবে শুধু অনলাইনে। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য কমনওয়েলথ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। যেকোনো প্রশ্নের জন্য ই–মেইল করতে পারবেন— [email protected] এই ঠিকানায়।
একনজরে–
শব্দসীমা: ২০০০–৫০০০ শব্দ।
পুরস্কার: প্রথম পুরস্কার ৫,০০০ পাউন্ড। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পুরস্কার ২,৫০০ পাউন্ড।
আবেদনের শেষ সময়: ১ নভেম্বর ২০২৫।
আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ কেমন২১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫