রাজশাহীতে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
Published: 20th, September 2025 GMT
রাজশাহীতে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আজাহার আলী নামের এক ব্যক্তি রাজশাহী নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আয়েন উদ্দিন। তিনি বিমান বাহিনীর একজন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার। তার বাড়িও বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামে। দুপক্ষের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ৩ শতক ভিটা জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান।
এরইমধ্যে আয়েন উদ্দিন জমি নিজের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন আজাহার আলী। সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছেলে মাহফুজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আজাহার উদ্দিন বলেন, “তার বাবা চেরু প্রামাণিক ১৯৭৩ সালে নরদাশ মৌজায় সাড়ে ১৬ শতক জমি কেনেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে চেরু প্রামাণিক তার নাতি মাহফুজুর রহমানকে সাড়ে ১০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এই জমি তাদের ভোগদখলেই আছে। কিন্তু আয়েন উদ্দিন এখন এই জমির মধ্যে থেকে ৩ শতকের মালিকানা দাবি করছেন। এ জন্য তিনি গাছ উপড়ে ফেলে, খুঁটি ভেঙে ও প্রাচীর ভাঙচুর করে জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তিনি আইন ও প্রমাণ উপেক্ষা করে তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।”
আজাহার উদ্দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতে যাওয়ার পর আমরা আমাদের বৈধ দখল ফিরে পাই এবং আদালতের রায়ও আমাদের পক্ষে আসে। এমনকি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে কাগজপত্র যাচাইয়ের পর সেনাবাহিনীও আমাদের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু বিবাদী আয়েন উদ্দিন একজন বিমান বাহিনীর চাকরিজীবী হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত আমাদের হুমকি ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রাতের আঁধারে প্রায় ২৫টি গাছ উপড়ে ফেলেছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন।’’
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘‘ওই জমির দলিল আগে এটা ঠিক, কিন্তু মালিকানা আমার। এটা নিয়ে আমি আদালতে খারিজ বাতিলের মামলা করেছি। জমির দখল আমারই আছে, কিন্তু আমি চাকরির জন্য বাইরে থাকি বলে তারা দখলের চেষ্টা করছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘এই জমির মীমাংসায় আমি যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে বসতে রাজি আছি। যারা জমির কাগজপত্র বোঝেন তারা কিংবা আইনজীবীও থাকতে পারেন। তারা যে রায় দেবেন, আমি মেনে নেব। আমি জমি না পেলেও সমস্যা নেই। সমাধান হোক।’’
ঢাকা/কেয়া
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আজ হ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
   
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী