রাজশাহীতে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আজাহার আলী নামের এক ব্যক্তি রাজশাহী নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আয়েন উদ্দিন। তিনি বিমান বাহিনীর একজন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার। তার বাড়িও বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামে। দুপক্ষের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ৩ শতক ভিটা জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান।

এরইমধ্যে আয়েন উদ্দিন জমি নিজের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন আজাহার আলী। সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছেলে মাহফুজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আজাহার উদ্দিন বলেন, “তার বাবা চেরু প্রামাণিক ১৯৭৩ সালে নরদাশ মৌজায় সাড়ে ১৬ শতক জমি কেনেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে চেরু প্রামাণিক তার নাতি মাহফুজুর রহমানকে সাড়ে ১০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এই জমি তাদের ভোগদখলেই আছে। কিন্তু আয়েন উদ্দিন এখন এই জমির মধ্যে থেকে ৩ শতকের মালিকানা দাবি করছেন। এ জন্য তিনি গাছ উপড়ে ফেলে, খুঁটি ভেঙে ও প্রাচীর ভাঙচুর করে জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তিনি আইন ও প্রমাণ উপেক্ষা করে তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।”

আজাহার উদ্দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতে যাওয়ার পর আমরা আমাদের বৈধ দখল ফিরে পাই এবং আদালতের রায়ও আমাদের পক্ষে আসে। এমনকি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে কাগজপত্র যাচাইয়ের পর সেনাবাহিনীও আমাদের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু বিবাদী আয়েন উদ্দিন একজন বিমান বাহিনীর চাকরিজীবী হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত আমাদের হুমকি ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রাতের আঁধারে প্রায় ২৫টি গাছ উপড়ে ফেলেছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন।’’

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘‘ওই জমির দলিল আগে এটা ঠিক, কিন্তু মালিকানা আমার। এটা নিয়ে আমি আদালতে খারিজ বাতিলের মামলা করেছি। জমির দখল আমারই আছে, কিন্তু আমি চাকরির জন্য বাইরে থাকি বলে তারা দখলের চেষ্টা করছেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘এই জমির মীমাংসায় আমি যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে বসতে রাজি আছি। যারা জমির কাগজপত্র বোঝেন তারা কিংবা আইনজীবীও থাকতে পারেন। তারা যে রায় দেবেন, আমি মেনে নেব। আমি জমি না পেলেও সমস্যা নেই। সমাধান হোক।’’

ঢাকা/কেয়া

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র আজ হ র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজের মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া চারজনের একজন বাংলাদেশের মুমতাহিনা

যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের হেনড্রিক্স কলেজের মর্যাদাপূর্ণ ‘হেইজ মেমোরিয়াল স্কলারশিপ’ পেয়েছেন বাংলাদেশের মুমতাহিনা করিম মীম।

প্রতিবছর মাত্র চারজন শিক্ষার্থীকে এই সম্পূর্ণ খরচ বহনের বৃত্তি (ফুল রাইড) দেওয়া হয়। এবার এই বৃত্তি পাওয়া চারজনের তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী, আর একমাত্র মুমতাহিনা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী।

বৃত্তির আওতায় চার বছরের টিউশন ফি, থাকা-খাওয়াসহ সব খরচ বহন করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মুমতাহিনা জানান, চার বছরে তাঁর মোট বৃত্তির পরিমাণ টাকার হিসাবে দাঁড়াবে ২ কোটি ৬৫ লাখের বেশি।

গত ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন মুমতাহিনা। তাঁর ক্লাস গত ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট করছেন মুমতাহিনা করিম মীম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তামান্না কী আধ্যাত্মিক মানুষ?
  • চাকসু নির্বাচন: প্যানেলে ভিপি-জিএস পদে নারী শুধু একজন
  • সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
  • বাংলাদেশি পাসপোর্ট-এনআইডি থাকার বিষয়ে কী বলছেন টিউলিপ, যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া কী
  • ঘরের চালে ঢিল ছোড়া নিয়ে বিরোধ, মীমাংসার পর মারামারিতে প্রাণ গেল একজনের
  • জাদুঘর থেকে উধাও ফারাওর সেই ব্রেসলেট চুরির পর সোনা পেতে গলিয়ে ফেলা হয়েছে
  • কারাগারে ও বিদেশে ছিলেন আসামিরা, তবু ‘মোবাইলের আলোতে চিনতে’ পেরেছেন বাদী এনসিপি নেতা
  • জীবিকার জন্য পরিশ্রম করা ইবাদত
  • যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজের মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া চারজনের একজন বাংলাদেশের মুমতাহিনা