নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্র থেকে পাঁচ মামলার আসামির লাশ উদ্ধার
Published: 20th, September 2025 GMT
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে রুবেল মিয়া (৪২) নামের পাঁচ মামলার এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাতিরদিয়া বাজারসংলগ্ন নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রুবেল মিয়া কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের নলবাইদ এলাকার হাবিব উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর ও শিবপুর থানায় চুরি, ছিনতাই, মাদক, হত্যাসহ পাঁচটি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল নয়টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে একজনের লাশ ভেসে থাকার খবর জানতে পারে মনোহরদী থানা-পুলিশ। এক ঘণ্টা পর অজ্ঞাতপরিচয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নরসিংদী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক মো.                
      
				
লাশ উদ্ধারের স্থানটির এক পাশে নরসিংদীর মনোহরদীর হাতিরদিয়া এবং অপর পাশে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সনমানিয়া এলাকা। পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত তিনটার দিকে কাপাসিয়া থানার একটি টহল দল সনমানিয়া এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান থামায়। পিকআপটিতে তিনটি গরু ও কয়েকজন লোক ছিলেন। পুলিশ দেখে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া দিলে পিকআপটি সেতু পার হয়ে মনোহরদীর দিকে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে সেতুর অপর প্রান্তে আরেকটি গাড়ি চলে আসায় সেটি আটকে যায়। তখন লোকজন পিকআপ ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গরু ও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাতাব রহমান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ছিলেন রুবেল মিয়া। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তিনি নদে ঝাঁপ দেন। কিন্তু নদ সাঁতরে পাড়ে উঠতে না পেরে ডুবে যান। আজ সকালে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।