পূজার সাজপোশাকে চিরচেনা পরিপাটি লুকে নিজেকে যেমন সাজাতে পারেন আবার হালের এলিগেন্ট লুকও বেছে নিতে পারেন। বলিউড তারকাদের অনেকে আবার এথনিক সাজপোশাককে প্রাধান্য দেন। বাদ যায় না ম্যাচিং সাজপোশাকও। ট্রেন্ডি পাঁচ রকম লুকের সাজপোশাকের গাইডলাইন জেনে নিন।
এলিগেন্ট সাজপোশাক
সাজে এলিগেন্ট আমেজ ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ফুসিয়া গোলাপি কিংবা যেকোনো উজ্জ্বল রঙের শাড়ি পরতে পারেন। স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ি পরলে আত্মবিশ্বাসী লাগবে। জমকালো সিকুইনের কাজ করা শাড়িতে সহজেই পেতে পারেন এলিগেন্ট লুক। সঙ্গে ন্যুড মেকআপ, চোখভর্তি কাজল, কপালে টিপ, চুলে খোঁপা আর কানে স্টেটমেন্ট দুল- ব্যাস হয়ে গেলো।
আরো পড়ুন:
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
মানিকগঞ্জে ৫৫৩ মণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭০০ পুলিশ
এথনিক সাজপোশাক
মিরর ওয়ার্ক করা কামিজে সহজে উৎসবের লুক পেতে পারেন। এর সঙ্গে চাই গ্লসি ন্যুড মেকআপ, ঠোঁটে ন্যুড পিঙ্ক লিপগ্লস আর চোখে মাশকারা। সুন্দর করে এঁকে নিতে পারেন ভ্রু যুগল। আর কপালে পরতে পারেন ছোট্ট টিপ। এই সাজের সঙ্গে চুল ছেড়ে রাখলেও ভালো লাগবে। কানে শোভা পেতে পাবে বড় ঝুমকা। আর হাতে পরতে পারেন মুক্তা অথবা গোল্ডের চুড়ি।
ম্যাচিং সাজপোশাক
মেটালিক সেমি শিয়ার শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজে সাজাতে পারেন নিজেকে। মেটালিক সেমি শিয়ার শাড়ির সঙ্গে সাজ অনুসঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন রুবি চোকার নেকলেস। আর হাতে থাকতে পারে শাঁখা, পলা ও চুড়ি। ঠোঁটে শোভা পাক লাল লিপস্টিক, চোখে কাজল আর কপালে পাথরের টিপ। চুল সাজানোর ক্ষেত্রে মাঝে সিঁথি করতে পারেন। লো বান খোঁপাতেই হতে পারে পূজার সাজ।
জমকালো সাজপোশাক
জমকালো বর্ডার দেওয়া যেকোনো শাড়িতে সহজে পেতে পারেন উৎসবের ভাইব। শাড়ির সঙ্গে বাঙালির চিরচেনা গ্লাস হাতার ব্লাউজ পরতে পারেন। এতে সিগ্ধ একটা লুক তৈরি হয়ে যাবে। চোখ সাজাতে পারেন কাজল দিয়ে আর ঠোঁটে শোভা পেতে পারে গ্লসি লিপস্টিক। গ্লাস হাতার ব্লাউজ পরলে গলায় কোনো গয়নার দরকার হবে না, সেক্ষেত্রে কানে শোভা বাড়াতে পারে বড় ঝোলানো যেকোনো দুল। আর হাতে একগুচ্ছ চুড়ি পরে নিন। চুল সাজাতে পারেন উঁচু করে পনিটেল-স্টাইলে।
চিরচেনা পরিপাটি লুক
যেকোনো রঙের কাঞ্জিভরম আপনাকে দিতে পারে উৎসবের উপযোগী জমকালো লুক। এর সঙ্গে গোল্ডের গয়না বেশ মানিয়ে যায়। ভ্রু যুগল কাজলে এঁকে নিয়ে কপালে পরতে পারেন একটি ছোট্ট টিপ। হাতের অনামিকায় শোভা পেতে পারে একটি আংটি আর চুল বেণী করে নিতে পারেন। ঠোঁটে গ্লসি লিপস্টিক দিয়ে নিজেকে দিতে পারেন পরিপাটি লুক।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক এল গ ন ট জমক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।