সপ্তাহে কত দিন কাজ করা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য ভালো—চার দিন, পাঁচ দিন নাকি ছয় দিন? এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্প আকারে, আবার কেউ কেউ স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরু করেছে। কেউ এর পক্ষে, কেউ এর বিপক্ষে।

চার দিনের কর্মসপ্তাহ আসলে স্বপ্ন, বাস্তবতা নাকি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি—এটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নস (এসিটিইউ) চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালুর প্রস্তাব করার পর শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমিয়েও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়, এমন ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও দ্বিমত রয়েছে দেশটির ব্যবসায়‍ীদের মধ্যে।

চারদিনের অফিসে কর্মী। ইংল্যান্ডের ছবিটি সম্প্রতি তোলা।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল ঘোষণায় ‘আশ্বস্ত’ বিএনপি: মির্জা ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণাকে ‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো’ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায় এবং জনগণের যে ভোটের অধিকার, সেটাকে বাস্তবায়ন করতে চায় এবং সেটাকে নিশ্চিত করতে চায়।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা হয়েছে, তাতে আমরা মোটামুটিভাবে সন্তুষ্ট। শব্দের একটা এদিক-ওদিক থাকতে পারে, সে বিষয়গুলো আমি খুব বেশি বড় করে দেখি না। মূল বিষয় হচ্ছে যে আজকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে।’

একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত বড়, উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এটাকে সুষ্ঠুভাবে পালন করা ও অনুষ্ঠান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’

আরও পড়ুনজাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি২ ঘণ্টা আগে

বিএনপির মহাসচিব জানান, তাঁদের প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী সচেতনভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর এ দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। আজকে আবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

রাষ্ট্রের সংস্কার আলোচনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রায় ৯ মাস রাষ্ট্রের যে সমস্ত সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কিছু বিষয়ে হইনি। সেগুলো গণভোটের মাধ্যমে আসবে।’

আরও পড়ুনমনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, প্রচার শুরু ২২ জানুয়ারি১ ঘণ্টা আগে

জোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ‘সমস্যা নেই’

জোটের ভেতরে বোঝাপড়ার ঘাটতির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কোনো সমস্যা নেই। রাজনৈতিক দলের মধ্যে তো এগুলো থাকে। আমরা চূড়ান্তভাবে তো প্রার্থী তালিকা দিইনি। প্রাথমিক কথা ছিল, এখন সেটা প্রায় চূড়ান্ত। যাঁরা আমাদের সঙ্গে যুগপৎভাবে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হবে।’

একই দিনে গণভোটে কিছু সমস্যা থাকতে পারে

একই দিনে গণভোটের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুটা সমস্যা তো হবেই, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমরা যদি সবাই মিলে কাজ করি, তাহলে সেগুলো উতরাতে সক্ষম হব।’

গণভোট নিয়ে বিএনপির প্রচার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। প্রচারণার ব্যাপার এসেই যাবে।’

আরও পড়ুনযত সহজ ভাবা হচ্ছে, নির্বাচন তত সহজ হবে না: তারেক রহমান১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ