চার দিনের কর্মসপ্তাহ: স্বপ্ন, বাস্তবতা না অর্থনীতির ঝুঁকি
Published: 5th, October 2025 GMT
সপ্তাহে কত দিন কাজ করা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য ভালো—চার দিন, পাঁচ দিন নাকি ছয় দিন? এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্প আকারে, আবার কেউ কেউ স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরু করেছে। কেউ এর পক্ষে, কেউ এর বিপক্ষে।
চার দিনের কর্মসপ্তাহ আসলে স্বপ্ন, বাস্তবতা নাকি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি—এটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নস (এসিটিইউ) চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালুর প্রস্তাব করার পর শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমিয়েও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়, এমন ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও দ্বিমত রয়েছে দেশটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
চারদিনের অফিসে কর্মী। ইংল্যান্ডের ছবিটি সম্প্রতি তোলা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশুটির কান্না থামছে না
‘রাতে হঠাৎ ঘুমঘুম চোখে কান্না শুরু করে। একবার কান্না শুরু হলে তা আর থামতেই চায় না। তখন মাঝরাতে তাকে বাইরে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘুমায়, ততক্ষণ নিজের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোনোরকমে মাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করি। তবে কান্না থামাতে পারছি না।’
কথাগুলো বলছিলেন এক বছরের শিশু সাফওয়ান ইসলামের বাবা মো. ইমন ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় রেললাইনে বিকল হয়ে পড়া একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রেন। এ সময় শিশু সাফওয়ানের মা সানজিদা সুলতানা (২৫) ও নানি মাহমুদা বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সাফওয়ানকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখছেন তার বাবা ইমন।
ইমনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটগড় এলাকায়। তিনি একটি রড তৈরির কারখানায় ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। যে জায়গাটিতে দুর্ঘটনা হয়েছিল তা ইমনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র চার শ গজ দূরে। পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংটি অবৈধ। ঘটনার দিন সেখানে কোনো গেটম্যানও ছিল না।
আমরা কত আনন্দ করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছি। অথচ এক মাস না যেতেই আমার ছেলেটি তার মাকে হারাল। গোছানো সংসারটা যেন তছনছ হয়ে গেল।শিশু মো. ইমন ইসলামের বাবা।গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমনের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। এক পাশে ছেলে সাফওয়ানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তিনি। অনেকেই ছেলের এ অবস্থা দেখে ইমনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাফওয়ান চোখ মেলে আশপাশে তাকিয়ে দেখছে। আর কিছুক্ষণ পরপরই কান্না করছে।
ইমন প্রথম আলোকে বলেন, মা মারা যাওয়ার দিন বাড়িতে অনেক লোকের ভিড় থাকায় সাফওয়ান তেমন কান্না করেনি। তবে রাত হতেই মাকে না পেয়ে কান্না শুরু করে। এর পর থেকে প্রতি রাতেই কান্না করে। দিনের বেলায় বাড়িতে মানুষের ভিড় থাকায় তেমন কান্না করে না। তবে যখন বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়, তখন আর কান্না থামিয়ে রাখা যায় না।
ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভী পাড়া এলাকায়