Risingbd:
2025-12-13@08:14:36 GMT

শিরোপার যুদ্ধে রংপুর-খুলনা

Published: 11th, October 2025 GMT

শিরোপার যুদ্ধে রংপুর-খুলনা

সারা দেশ কেক নিয়ে উন্মাতাল। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। সেই আলোচনা এবার বাড়িয়ে দিলে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির আয়োজকরা।

রবিবার (১২ অক্টোবর) এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল। মুখোমুখি হবে রংপুর ও খুলনা বিভাগ। এর আগে দুই দলের অধিনায়ক আকবর ও মিঠুন শনিবার ফটোসেশনে এসেছিলেন। যেখানে আচমকাই নিয়ে আসা হয় কেক। পরে দুই অধিনায়ক কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দেন। আর এর মধ্যে দিয়েই ফাইনালের দামামা বাজতে শুরু করল।

আরো পড়ুন:

জয়সওয়ালের সেঞ্চুরি, সুদর্শনের ব্যাটে প্রথম দিনেই ভারতের দাপট

বাংলাদেশকে ১০০ রানে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম জয়

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আসরটির ফাইনালে খেলবে রংপুর। গত আসরের মতো এবারও শিরোপা জিতে নিতে চান অধিনায়ক আকবর। আর রংপুরকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো খুলনাকে শিরোপা জেতাতে চান দলটির অধিনায়ক মিঠুন।

সঠিক সময়ে দলের ছন্দ পাওয়ায় খুশি আকবর, “সঠিক সময়ে আমরা মোমেন্টামটা পেয়েছি এবং ওটা কাজে লাগছে আমাদের। একই চেষ্টা থাকবে যে, জাস্ট একটা নরমাল ম্যাচের মতো প্ল্যান করা এবং ওইভাবে করে এক্সিকিউট করার ট্রাই করা।”

কোনো চাপ ছাড়া ফাইনাল ম্যাচ খেলতে চান আকবর। আগের দিন আকবর বলেন, “ফাইনাল ম্যাচ যদিও, তারপরেও আমি বলব এটা একটা অন্য আট-দশটা ম্যাচের মতোই একটা ম্যাচ। বাট এটার হয়তো বা সিগনিফিকেন্সটা একটু বেশি। বাট আমরা যেরকম আমরা গেম প্ল্যান করে নামি, হয়তো বা ওই গেম প্ল্যানগুলো নিয়েই আসব। আর চেষ্টা থাকবে অবশ্যই ম্যাচ জেতার।”

রংপুর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠলেও তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখেই দেখছেন মোহাম্মদ মিঠুন, “রংপুর শেষ কিছু ম্যাচে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। ওরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই ওরা খুব ভালো টিম। ওদের প্রতি ডেফিনেটলি সেই রেসপেক্টটা থাকবে। অ্যাট দ্য সেইম টাইম, আমাদেরও খুব, আমরাও খুব ভালো খেলছি। আমাদের টিমটাও বেশ এক্সপেরিয়েন্সড, ওয়েল ব্যালান্সড টিম। অবশ্যই আমরা আশাবাদী।” 

খুলনার শিরোপা নেই লম্বা সময় ধরে। সেই অপেক্ষা ফুরাতে চান মিঠুন, “অনেক লম্বা সময় খুলনায় ট্রফি যায়নি। তো আমাদের টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই একটা সকল প্লেয়ারের মধ্যে একটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম আমরা, যে এই ট্রফিটা আমরা নিতে চাই। আগামীকালে অবশ্যই আমাদের টার্গেটটা থাকবে যে অবশ্যই আমরা যেটা বললাম যে আমরা ডে ওয়ান থেকে আমাদের টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে ওই মোটিভটাই কাজ করছে যে এই বছরের ট্রফিটা আমরা চাই। তো আমরা খুলনাকে এই ট্রফিটা উপহার দিতে চাই।”

ঢাকা/ইয়াসিন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ট ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বসুন্ধরার চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১–এ মামলাটি করেন। মামলায় আহমেদ আকবর সোবহান ছাড়াও তাঁর দুই ছেলেসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আহমেদ আকবর সোবহানের দুই ছেলে হলেন বসুন্ধরা ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত সোবহান এবং একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সাফিয়াত সোবহান।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক মনোয়ারা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিক হক সিকদার, রন হক সিকদার, মো. আনোয়ার হোসেন ও এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যাংকটির ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিনা সুলতানা, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার আরিফ মো. শহিদুল হক, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইন চার্জ আনিসুল হক, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতানা পারভিন ও সুবল চন্দ্র রায় এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ কামরুল হাসান মিঠু। তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলটি করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা ব্যাংকের প্রচলিত বিধিবিধান লঙ্ঘন করে এবং ঋণের শর্ত পূরণ না করেই বসুন্ধরা ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ৬০০ কোটি টাকা ‘ফান্ডেড’ ও ৭৫০ কোটি টাকা নন-ফান্ডেড—মোট ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। পরবর্তী সময়ে বিতরণ করা ফান্ডেড ঋণের ৬০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে পরস্পর যোগসাজশে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎ করা টাকার অবৈধ উৎস, অবস্থান এবং মালিকানা গোপন করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়।

এ ছাড়া এই অর্থের আরেকটি অংশ রংধনু বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করে ঋণ সমন্বয় ও নগদ উত্তোলন করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী বড় বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়েও অনুসন্ধানে নামে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা। তার ধারাবাহিকতায় বসুন্ধরার চেয়ারম্যান এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে ‘সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি জবরদখল, ঋণের অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ স্থানান্তর ও হস্তান্তর, অর্থ পাচারের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এর অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দুদকে তলবও করা হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বসুন্ধরাসহ পাঁচ বড় কোম্পানির মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায়।

এরপর গত বছর ২১ অক্টোবর ঢাকার আদালত বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তাঁর পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। তার আগে ৬ অক্টোবর তাঁদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ফিরে এসো প্রিয় ওসমান হাদি’
  • শতভাগ সেলিব্রিটি ক্রিমখোর: আসিফ
  • ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বসুন্ধরার চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা