ছবি: ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যের উৎসবে শামিল সবাই
Published: 19th, October 2025 GMT
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে যে একটা উৎসব চলছে, ক্যাম্পাসে ঢুকেই তা টের পাওয়া গেল। বলছি ‘ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি লিট-কার্নিভাল ২০২৫ ’-এর কথা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিভাগের এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের ২২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ অক্টোবর দিনব্যাপী চলা এ আয়োজনের অন্যতম সহযোগী ছিল ‘স্বপ্ন নিয়ে’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। পরে তিনি উৎসব উপলক্ষে বসানো স্টলগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উৎসবকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস। সাহিত্য রচনা, শৈল্পিক উদ্ভাবন এবং সৃজনশীল কাজকে উৎসাহিত করতে উৎসবে ছিল বর্ণিল নানা আয়োজন। স্পট পোয়েট্রি ও আবৃত্তি, কমিক-কন ও কসপ্লে, পোস্টার প্রদর্শনী এবং নাটক—এই চার বিভাগে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতা। অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা দুই শর বেশি শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুর এলাহী মিলনায়তনে।
নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অদিতি সরকার। নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে তাঁদের ১০ জনের দল। নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের মুক্তির চেতনাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা। অদিতি বলেন, ‘আমাদের নাটকের নাম মুক্তি। আমরা এখানে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বিভিন্ন লেখায় “মুক্তি” শব্দটির যে অনুপ্রেরণা, তারই সম্মিলন ঘটাতে চেয়েছি।’ অদিতি জানান, ইংরেজি ক্লাবের শিক্ষার্থীরা মিলে এক সপ্তাহের অনুশীলনে নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন।
আরও পড়ুনইস্ট ওয়েস্টের উপাচার্য: এটা শুধুই আরও একটি চাকরি নয়২০ ডিসেম্বর ২০২৩উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণজুড়ে বসেছিল ছোট ছোট স্টল। স্টলগুলোয় খাবার, গয়না, সুগন্ধী কিনতে ভিড় করে শিক্ষার্থীরা। পুরোনো বই বিনিময়ের জন্যও ছিল আলাদা স্টল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছিলেন স্টলে স্টলে। তিনি বলেন, ‘সকালে ক্লাস ছিল, তাই একটু দেরি হয়ে গেল। স্টলগুলো ভালো লেগেছে, তবে খেলার স্টলে যাওয়া এখনো বাকি। সব কটিই ঘুরে দেখব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সেঞ্চুরির ম্যাচ, রান উৎসবে ভারতকে হারিয়ে সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
বিরাট কোহলি ও রিতুরাজ গাইগোয়াড সেঞ্চুরি করে দলের রান নিয়ে গেলেন চূড়ায়। লোকেশ রাহুলের শেষ ঝড়ে মেলে প্রশান্তি। জোড়া সেঞ্চুরির জবাব আইডেন মার্করাম দিলেন সেঞ্চুরিতে। সঙ্গে আরো কয়েকটি ঝড়ো ইনিংস। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা রান পাহাড় টপকে যায় অতি সহজে।
৭৫০ রানের উৎসবের ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়পুরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দুই দলের লড়াইয়ে এর আগে এতো রান হয়নি কোনো ম্যাচে। নতুন ইতিহাস লিখার দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখে ফুটল শেষ হাসি।
বিরাট কোহলি ৫৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। যা ক্রিকেট বিশ্বের আর কেউ করতে পারেনি। ইয়াসভি জয়সয়াল ২২ ও রোহিত শর্মা ১৪ রানে আউট হওয়ার পর বিরাট ও রিতুরাজ জুটি বাঁধেন। ৬২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দুই সেঞ্চুরিয়ান ১৯৫ রান যোগ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটিই ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এ সময়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন রিতুরাজ। ওয়ানডেতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। তার উদপানের পরপরই বিরাট পৌঁছে যান ল্যান্ডমার্কে। আগের ম্যাচেই রাঁচিতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। টানা দুই সেঞ্চুরিতে নিজের রেকর্ড নতুন করে ভাঙলেন তিনি। ওয়ানডেতে এবার নিয়ে এগারতম বার দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি পেয়েছেন বিরাট। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৩ বলে ১০২ রান করেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়। রিতুরাজ ৮৩ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৫ রান।
ভারতের শেষ দিকের ব্যাটিং টেনেছেন লোকেশ রাহুল ও জাজেদা। রাহুল ৪৩ বলে ৬৬ রান করেন ৬ চার ও ২ ছক্কায়। জাদেজা ২ চারে ২৭ বলে করেন ২৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ছিলেন মার্কো জানসেন। ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।
প্রোটিয়ারা জবাব দিতে নেমে ২৬ রানে ডি ককের উইকেট হারায়। সেখান থেকে প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তোলেন মার্করাম ও বাভুমা। মার্করাম তিন অঙ্ক ছুঁয়ে স্বস্তি ফেরালেও বাভুমা ৪ রানের আক্ষেপে পুড়েন। পঞ্চাশ থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন প্রোটিয়া অধিনায়ক। মার্করাম হাল ছাড়েননি। রান তাড়ায় বিন্দু পরিমাণে চাপ না নিয়ে ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৯৮ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১১০ রান করেন তিনি।
ম্যাচের মোড় এরপর পাল্টে দেন ব্রিটস্কি ও ব্রেভিস। চার-ছক্কার সমারোহে দুজন রান তাড়া মামুলী বানিয়ে ফেলেন। ব্রিটস্কি ৬৪ বলে করেন ৬৮ রান। ৫ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৩৪ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। শেষটা রাঙিয়ে দেন করবিন বোচ। ১৫ বলে ২৯ রান করেন ৪ বাউন্ডারিতে।
অঙ্কের মতো হিসেব মিলিয়ে পুরো ইনিংসে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইতো রানের পাহাড় পেরোতে তাদের কোনো ঝামেলাই হয়নি। শিশিরের প্রভাব থাকায় ভারতের বোলাররা কঠিন পরীক্ষা দিয়েছে। আর্শদ্বীপ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ঞা ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মার্করাম।
আগামী ৬ ডিসেম্বর বিশাকপত্তনমে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচটা অলিখিত ফাইনালে রূপ নিল।
ঢাকা/ইয়াসিন