গানে গানে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, লালন স্মরণে দারুণ এক রাত
Published: 19th, October 2025 GMT
সন্ধ্যা নামতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভেসে আসছিল একের পর এক গান—‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’, ‘আছে যার মনের মানুষ মনে তোলা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’। রাত সাড়ে ১২টার পরও থামেনি গানের ধারা। তখন মঞ্চে লালন ব্যান্ড গাইছিল ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে’। উদ্যানে তখনো অগণিত প্রাণের সরব উপস্থিতি। বাতাসে মিশে ছিল ভাব আর সুরের অনুরণন। কেউ চোখ বুজে গানের তালে দুলছিলেন, কেউবা হাততালি দিচ্ছিলেন। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে এমন দারুণ এক রাত যেন হয়ে উঠেছিল ভাব, সুর ও মিলনের উৎসব।
জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় লালন উৎসব ও লালন মেলা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে আয়োজন। লালনের গানে মুখর হয়ে ওঠে উদ্যানের বড় অংশ। শত শত লালনভক্ত ও অনুরাগীর পদচারণে মুখর ছিল চারপাশ। মঞ্চের শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গেয়েছেন দর্শকেরা। সেই গানে মিশে ছিল ভক্তির আবেশ, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস আর একাত্মতার সুর। লালনের ভাব ও দর্শনের সুরে শুরু হলেও আয়োজনে বাজে লোকসংগীত, আধুনিক ও বাউল ঘরানার নানান গান।
লালন শুধু সংগীত সাধক নন; তিনি দার্শনিক, ভাবগুরু। তাঁর গান আজও মানুষকে ভাবায়, এক করে। উৎসবে সেই চেতনার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল শিল্পীদের কণ্ঠে, দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায়।শত শত লালনভক্ত ও অনুরাগীর পদচারণে মুখর ছিল চারপাশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
জেরিন, নিশাত ও নুসরাত তিনজনই ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির পড়াশোনার চাপে ফলাফলের পর তিন বান্ধবীর আর দেখা হয়নি। আজ বুধবার কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে দেখা হওয়ায় তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
নিশাত তাসনিম বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে অনেক দিন বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। শুধু আড্ডা নয়, সবার ভর্তি প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আজ ময়মনসিংহে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো জিপিএ–৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব ২০২৫’–এ যোগ দিয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃতী শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। উৎসবে সহযোগিতা করে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।
‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবারই প্রথম এই উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর পর আজ ময়মনসিংহে হলো ষষ্ঠ এ আয়োজন। অন্য বিভাগগুলোয়ও এমন আয়োজন হবে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি।
সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের লক্ষ্য লেখার বোর্ডে অনেকে লিখছিলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসব লেখায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন কিংবা ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা। বুধবার ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে