২৭৮ স্ট্রাইক রেটে রিশাদের তাণ্ডব, হয়ে গেল রেকর্ডও
Published: 21st, October 2025 GMT
স্পিনের স্বর্গে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন হাঁসফাঁস করছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে রান তোলা হয়ে উঠেছিল দুঃসাধ্য কাজ। ঠিক তখনই এলেন রিশাদ। চার-ছক্কার ঝড় তুললেন, দলের রানটা দুই শ ছাড়িয়ে দিলেন।
বল হাতে আগের ম্যাচেই ৬ উইকেট নিয়ে জিতিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচেও তাঁর ব্যাট থেকে ১৩ বলে এসেছিল ২৬ রান। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই ইনিংসকেও ছাড়িয়ে গেলেন। মাত্র ১৪ বলে করলেন ৩৯ রান।
লেগ স্পিনে এখন দলের ভরসা রিশাদ। তবে আজ তাঁর ব্যাটই যেন কথা বলেছে সবচেয়ে জোরে। ছক্কা মারার হাতে যে বাড়তি জোর আছে, তা আগেই জানা ছিল। কিন্তু আজ তা যেন নতুন এক উচ্চতা ছুঁয়ে গেল। স্ট্রাইক রেট? অবিশ্বাস্য—২৭৮.
গত বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ বলে করেছিলেন ৪৮ রান। ওই ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬৬.৬৬। সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন এবার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও কখনো এত স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেননি রিশাদ।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের অন্তত ২৫ রানের ইনিংসে এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে আর কেউ ব্যাট করতে পারেননি। এর আগের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ছিল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার, কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৬ সালে করেছিলেন ১৬ বলে ৪৪ রান।আরও পড়ুনদ্বিতীয় ওয়ানডে: তৃতীয় বলেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন নাসুম৪ ঘণ্টা আগে১৪ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৩৯ রান করেছেন রিশাদ হোসেন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চবির হল সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বললেন প্রাধ্যক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদে হল সংসদের নবনির্বাচিত রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত হল প্রাধ্যক্ষের নাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক।
আরো পড়ুন:
জোবায়েদ হত্যার বিচার যেন গ্রেপ্তারেই সীমাবদ্ধ না থাকে: জবি উপাচার্য
৩ দাবিতে রাবি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শাটডাউন
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ৪টায় রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হল সম্পাদক শিহাবুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে তিনি বলেন, “আমি আজ (মঙ্গলবার) স্যারকে বলেছিলাম- আমাদের হল লাইব্রেরির জন্য নির্বাচনের আগে কিছু চেয়ার এসেছিল, সেগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি না; চেয়ারগুলো এখন কোথায় আছে? তিনি বললেন- ‘তুমি অফিসে জিজ্ঞেস করনি? তুমি এত প্রশ্ন করছো কেন? তুমি আমাকে বলার কে?’ পরে আমি আমার পরিচয় দিয়েছি। স্যারের কথা বলার ধরণ অস্বাভাবিক ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “এরপর বলছিলাম- ‘স্যার, আমাদের লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা খুবই কম।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের সব ইশতেহার পূরণ করতে পারব না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড ম্যানেজ করে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করবা।”
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, “আমিও হল সংসদের সভাপতি, সে-ও আমার বডির একজন সদস্য। সে যদি আমার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে বিষয়টা নিয়ে হল সংসদের সবাই আগামীকাল একসঙ্গে বসে আলোচনা করব। আমরা তো সবাই এক পরিবারের অংশ। আমাদের মধ্যে কোনকিছু হলে সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে সমাধান করব।”
হল প্রাধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে এর আগে হলের শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দু-তিন মাসে একবার হলে যান। হলটিতে পানি-ওয়াইফাই সেবাসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও তিনি এসবের খোঁজ রাখেন না।
এ বিষয়ে গত আগস্ট মাসে এই প্রতিবেদক অধ্যাপক এনামুল হককে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস না করে অফিসে জিজ্ঞেস করো। তুমি আমাকে কল করার কে? তুমি কোন পত্রিকার সাংবাদিক সেটা আমি দেখব। তুমি বিভাগে কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করো।”
পরে বিভাগের গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে কল দিলে তিনি তার বক্তব্যের জন্য প্রতিবেদকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জানান, হলের সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী