ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার সুপার ওভার খেলল বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২১৩ রান করে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসও থেমে যায় ২১৩ রানে। তাতে ম‌্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। 

নতুন এ অভিজ্ঞতায় শুরুটা হলো বাজে। বাংলাদেশ ম‌্যাচ হেরেছে ১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব‌্যাটিং করে ১০ রান করে। বাংলাদেশ ৯ রানের বেশি করতে পারেনি।  অথচ ম‌্যাচ জয়ের সূবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল দল। নিষ্প্রাণ ব‌্যাটিংয়ে ম‌্যাচ হেরেছে স্বাগতিকরা। ৬ বলে ১১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অতিরিক্ত ৩ রান পায় বাংলাদেশ। 

স্পিনার আকিল হোসেন দুইটি ওয়াইড ও একটি নো বল করেন। নো বলের ফ্রি হিট সৌম‌্য সরকার কাজে লাগাতে পারেননি। সৌম‌্য ও সাইফ ইনিংস শুরু করেন। পরে সৌম‌্য আউট হলে শান্ত ব‌্যাটিংয়ে আসেন। ভাগ‌্য পরিবর্তন হয়নি তাতেও। শেষ বলে ৩ রানের প্রয়োজন ছিল। সাইফ ১ রানের বেশি নিতে পারেনি। 

ম‌্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, ‘‘আমাদের জন্য এটা (সুপার ওভার) একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলেছি। আমার মনে হয় ব্যাট করা সহজ উইকেট ছিল না। সুপার ওভারে, আমাদের ১১ রান প্রয়োজন ছিল এবং একটি বাউন্ডারি পরিস্থিতি বদলে দিতে পারত।’’

মূল ম‌্যাচে রিশাদ ১৪ বলে ৩৯ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। তার ঝড়ো ব‌্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দুইশর বেশি পুঁজি পায়। কিন্তু সুপার ওভারে তাকে ব‌্যাটিংয়ে দেখতে না পেয়ে অবাক হয়েছে অনেকেই। তবে অধিনায়কের কণ্ঠে রিশাদকে নিয়ে প্রশংসা ছিল, ‘‘রিশাদ এই মুহূর্তে খুব ভালো করছে। সব ব্যাটসম্যানই লড়াই করছিল কিন্তু সে আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছিল।’’

রিশাদকে ব‌্যাটিংয়ে আসতে না দেখে অবাক হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। সংবাদ সম্মেলনে আকিল হোসেন বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। মানে, যে ব‌্যাটসম‌্যান ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক বলে মনে হয়েছিল, প্রায় ১৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিল। আর সে  সুপার ওভারে নেই। শর্ট সাইডে সে দুটি ছক্কা মেরেছে। আমরা সবাই একটু অবাক হয়েছিলাম যে, সে ব‌্যাটিং করতে আসেনি যা আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।’’

এদিকে হিসেবের গণ্ডগোলে সাইফকে দিয়ে মূল ম‌্যাচে শেষ ওভার করতে হয়।  শেষ ৬ বলে ৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সাইফ প্রথম দুটি ডটের পর চতুর্থ বলে আকিল হোসেনকে আউট করেন। শেষ বলেও উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু সোহান ক‌্যাচ মিস করায় ম‌্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তার বোলিং নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আর কোন বিকল্প ছিল না। আমি ভাবছিলাম আমরা কি আরেকটি উইকেট পেতে পারি.

.. কিন্তু আমরা তা পাইনি।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতেছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভ্যাঙ্কুভার হোটয়াইটসক্যাপসকে মায়ামি উড়িয়ে দেয় ৩-১ গেলে। চেজ স্টেডিয়ামে হওয়া এই ফাইনাল শেষে শুরু হওয়া উদ্‌যাপনে এখনো মেতে আছেন মায়ামির খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। প্রথমবারের মতো এমএলএসের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের পর উদ্‌যাপনটা অবশ্য এমন বাঁধভাঙাই হওয়ার কথা।

এমএলএস কাপ জিতে অবশ্য শুধু ট্রফিই নয়, বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। সর্বশেষ অফিশিয়াল প্লে-অফ পুরস্কারের কাঠামোয় ২০২৫ সালের এমএলএস কাপ জেতা দল ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা) অর্থ পুরস্কার পাবে, আর রানার্সআপ দল পাবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের অর্থ পুরস্কার।

ফাইনালিস্টদের বাইরে, এমএলএস এমন দলগুলোকেও পুরস্কৃত করে, যারা প্লে-অফের আগের রাউন্ডে আসতে পারে। যেমন কনফারেন্স ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পেয়েছে ১ লাখ ডলার করে। আর কনফারেন্স সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দলগুলোর ঝুলিতে গেছে ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার করে।

আরও পড়ুনক্যারিয়ারের ৪৭তম শিরোপা জিতে মেসি, ‘এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম’০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তীর্ণ হওয়া সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে প্লে-অফ পুরস্কার হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ডলার বিতরণ করে এমএলএস। এই অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া পোস্ট সিজন রাউন্ডের (প্লে-অফের ধাপগুলো) আর্থিক গুরুত্বকে আরও মজবুত করে, যেখানে প্রতিটি জয় একটি দলকে।

স্ত্রী ও পুত্রদের সঙ্গে নিয়ে মেসির আরেকটি শিরোপা উদযাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার সেরা তিনে স্টার্ক
  • এমএলএস কাপ জিতে কত টাকা পেলেন মেসিরা
  • রোকেয়া পদক পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘এ পুরস্কার নারীদের আরও প্রেরণা জোগাবে’
  • বিগ টিকিটে ৮৩ লাখ টাকা জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি