ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বহনকারী হেলিকপ্টারকে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। আজ বুধবার কেরালা রাজ্যের প্রামাদম স্টেডিয়ামে অবতরণের পর হেলিপ্যাডের একটি অংশ দেবে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারটি দেবে যাওয়া ওই অংশে আটকে পড়ে।

কেরালায় চার দিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েন মুর্মু।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি অবতরণের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হেলিপ্যাডের কিছু অংশ দেবে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। তাঁরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরঞ্জাম ছাড়াই হেলিকপ্টারটিকে ধাক্কা দিয়ে হেলিপ্যাডের দেবে যাওয়া অংশ থেকে সরিয়ে নেন।

মুর্মু গতকাল মঙ্গলবার কেরালা সফর শুরু করেছেন। ২৪ অক্টোবর সফর শেষ হবে। গতকাল তিনি তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে রাজ্যের কর্মকর্তারা তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কেরালার গভর্নর রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকার, মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ী বিজয়ন এবং সংখ্যালঘু ও মৎস্য, প্রাণিজ সম্পদ ও দুগ্ধজাত পণ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তিরুবনন্তপুরমে স্বাগত জানান।’

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘তাঁর (মুর্মু) উপস্থিতি রাজ্য ও আমাদের জনগণের জন্য একটি মহাসম্মানের বিষয়।’

রাষ্ট্রপতির সফরসূচি অনুযায়ী আজ তাঁর শবরীমালা মন্দির পরিদর্শন ও সেখানে আরতি সম্পাদন করার কথা আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনার কবলে ভারতের প্রেসিডেন্ট মুর্মুর হেলিকপ্টার

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে; তবে রাষ্ট্রপতি মুর্মু অক্ষত আছেন। আজ বুধবার দেশটির সর্বদক্ষিণের রাজ্য কেরালার থিরুভানান্থাপুরম জেলায় থিরুভানান্থাপুরম জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা।

স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে কেরালার থিরুভানান্থাপুরম জেলার প্রমোদোম স্টেডিয়ামের নতুন তৈরি হেলিপ্যাডে অবতরণ করে দ্রৌপদী মুর্মুকে বহনকারী ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই ১৭ চপার হেলিকপ্টারটি।

আরো পড়ুন:

ভূতের রাজ্যে রাশমিকা: বক্স অফিসে শুরুটা কেমন হলো?

খাবার জোগাতেও আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে: সামান্থা

কিন্তু হেলিকপ্টারটি অবতরণ করা মাত্র হেলিপ্যাডের একাংশের কংক্রিট ভেঙে যায়। ফলে চাকা বসে যাওয়ায় খানিক্ষণের জন্য বেসামাল হয়ে যায় হেলিকপ্টারটি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ কাজে নামে পুলিশ ও দমকল। দীর্ঘ চেষ্টায় হাত দিয়ে ঠেলে কপ্টারটি ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার জেরে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটি।

দ্রৌপদী মুর্মুর অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি নিরাপদেই হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টারটির পম্বা জেলার নিলাক্কালে অবতরণ করার কথা ছিল । কিন্তু সেখানে আবহাওয়া খারাপ থাকায়, শেষ মুহূর্তে তা বদলে প্রমাদমের রাজীব গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয় বিকল্প হিসেবে। ফলে, মঙ্গলবার গভীর রাতেই তড়িঘড়ি করে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়।

জেলার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কংক্রিটটি পুরোপুরি জমে ওঠেনি। ফলে চাকার নিচে মাটি বসে গিয়ে ছোট গর্ত তৈরি হয়।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে দেখা যায়, হেলিকপ্টার অবতরণের পর তার চাকা আংশিকভাবে কংক্রিটে বসে গেছে এবং একাধিক পুলিশ, দমকল ও নিরাপত্তাকর্মীরা ঠেলে সেই চাকা গর্ত থেকে বের করে আনছেন।
এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে, রাষ্ট্রপতির মতো উচ্চ নিরাপত্তার ব্যক্তির সফরে এতটা ত্রুটি কীভাবে হল?

সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কোনো ব্যক্তি আহত হননি এবং রাষ্ট্রপতির সফরসূচিতেও কোনো বড় প্রভাব পড়েনি। হেলিকপ্টার নামার পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সড়কপথে পাম্বার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরলে এসে পৌঁছান। আজ সকালে তিনি পৌঁছান পাথানামথিট্টা জেলায়, যেখান থেকে তিনি যাবেন শবরিমালা মন্দির দর্শনে।

যদিও আবহাওয়ার কারণেই এই হেলিপ্যাডে অবতরণ বলে দাবি করেছে প্রশাসন, তবে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির প্রশ্নে গাফিলতি ছিল কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে রাতারাতি তৈরি করা একটি কংক্রিট হেলিপ্যাড রাষ্ট্রপতির মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের হেলিকপ্টার কি অবতরণের জন্য আদৌ উপযুক্ত ছিল? এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে রিপোর্ট চাওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা টেলিফোনে যোগাযোগ করেন এবং খোঁজখবর নেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্ঘটনার কবলে ভারতের প্রেসিডেন্ট মুর্মুর হেলিকপ্টার
  • নাসার চন্দ্রযান তৈরিতে মাস্কের প্রতিষ্ঠানের দেরি, অন্য প্রতিষ্ঠানের উন্মুক্ত হচ্ছে চুক্তি