ভারতে দিওয়ালি মানেই নতুন নতুন ছবি মুক্তি। এবার দিওয়ালি উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেমা ‘থামা’, আর ‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’। ম্যাড্ডক ফিল্মস-এর ‘থামা’-কে ঘিরে আগে থেকেই উন্মাদনা ছিল প্রচুর। মুক্তির প্রথম দিনে সেই উন্মাদনা ধরা পড়েছে। তবে ‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’ ছবিটিও রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে। উৎসবের আবহে মুক্তি পাওয়া নতুন দুই ছবির পাশাপাশি ‘কানতারা চ্যাপ্টার ১’-এর গতি এখনো অব্যাহত। গতকাল মঙ্গলবার বক্স অফিস থেকে আয়ের দৌড়ে কোন ছবি কতটা এগিয়ে, তা দেখে নেওয়া যাক।
আয়ুষ্মান খুরানা ও রাশমিকা মান্দানা ‘থামা’
ম্যাড্ডক ফিল্মস-এর হরর-কমেডি ইউনিভার্সের নতুন ছবি হলো ‘থামা’। গতকাল দিওয়ালি উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। উৎসবমুখর দিনে প্রযোজক দিনেশ ভিজান এক সঠিক ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের। কারণ, আদিত্য সরপোতদার পরিচালিত ছবিতে ভূত-কমেডির মিশেলের মধ্যে রোমান্স আছে ভরপুর। ‘থামা’ ছবির রোমান্টিক জুটি আয়ুষ্মান খুরানা ও রাশমিকা মান্দানা।
ছবির মুক্তির আগেই তাঁদের দুরন্ত রোমান্স সবাইকে ছুঁয়ে গেছে। সংগীত পরিচালক শচীন-জিগর-এর সুরে ‘থামা’-র গানগুলো ইতিমধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু আয়ুষ্মান-রাশমিকা নয়, ছবিতে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, পরেশ রাওয়াল-এর মতো তুখোড় অভিনেতারা আছেন।
‘থামা’ সিনেমার গানের দৃশ্যে রাশমিকা মান্দানা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে