শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
Published: 23rd, October 2025 GMT
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৭ অক্টোবর দুপুরে বিদ্যালয়ের ২ নম্বর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক বুলবুল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজের কাছে ডেকে প্রথমে তার হাত ধরেন এবং পরে উরুতে হাত দিয়ে চাপ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্রীটি প্রথমে ভয় ও লজ্জার কারণে বিষয়টি গোপন রাখলেও বাড়ি ফিরে তার ফুফু ও চাচির কাছে সব খুলে বলে। ৯ অক্টোবর বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ ১০৮ জন স্বাক্ষর করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘প্রথমে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি তাতেই সন্তুষ্ট ছিলাম। তবে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।’’
কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। বুধবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।