রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ১-১ এ সমতা আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে শেষ দিনে মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ম্যাচের নায়ক নিঃসন্দেহে অফ-স্পিনার সাইমন হরমার। যিনি নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফাইফার। সেই সঙ্গে ছুঁয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১,০০০ উইকেটের মাইলফলক।

৩৬ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ স্পিনার পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেন ৫০ রানে। ধীরে ধীরে ভেঙে পড়া রাওয়ালপিন্ডির পিচে তার ঘূর্ণির সামনে টিকতে পারেননি কোনো পাকিস্তানি ব্যাটার। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ৪৯.

৩ ওভারে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬৮ রান।

আরো পড়ুন:

অ্যাডিলেডে রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

সবচেয়ে বড় জয়ে সিরিজ জয়ের আনন্দ

লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় দুই উইকেট। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ৪২ রান করে নোমান আলির বলে আউট হন। আর ট্রিস্টান স্টাবস ফেরেন শূন্য হাতে। নোমান আলি পান দুটি উইকেট, খরচ করেন ৪০ রান।

অন্যদিকে, রায়ান রিকেলটন অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। তার ছক্কাতেই শেষ হয় ম্যাচ। সাজিদ খানের বলে ছক্কা মেরে লাঞ্চের কয়েক মিনিট আগে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৩৩৩ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৪ রান তোলে, যেখানে তাদের টেলএন্ডাররাই বড় ভূমিকা রাখেন এবং গড়ে তোলেন ৭১ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড।

পুরো ম্যাচজুড়ে স্পিনাররাই ছিলেন আধিপত্যে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৪টিই পড়েছে স্পিনে। আগের টেস্টেও (লাহোরে), যেখানে পাকিস্তান জিতেছিল ৯৩ রানে, স্পিনারদেরই ছিল মূল ভূমিকা।

চতুর্থ দিনের সকালে পাকিস্তানের ইনিংস শুরু হয় ৯৪/৪ অবস্থায়। সেখান থেকে দল যোগ করে মাত্র ৪৪ রান, এবং ধস নামে হরমারের ঘূর্ণিতে। দিনের পঞ্চম বলেই বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ করে পাকিস্তানের আশা ভেঙে দেন হরমার। বাবর তখন তার ৩০তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন এবং শতকের খরা (ডিসেম্বর ২০২২ থেকে) কাটানোর অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না।

এরপর আরও নয় রান যোগ হতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৮ রানে ক্যাচ করান টনি ডি জর্জির হাতে। নিজের পরের ওভারেই নোমান আলিকে শূন্য রানে আউট করে নেন হরমার। এটা ছিল তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১,০০০তম উইকেট, ২৩৫তম ম্যাচে এসে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে মাত্র চারজন বোলার এই ক্লাবে আছেন- মাইক প্রোক্টর (১,৪১৭), অ্যালান ডোনাল্ড (১,২১৬), চার্লি লিউয়েলিন (১,০১৩) এবং এখন সাইমন হরমার (১,০০০+)।

প্রথম টেস্টে লাহোরে হরমারের সেরা বোলিং ছিল ৪-৫১; রাওয়ালপিন্ডিতে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার ভেঙে পড়ল হুড়মুড় করে। শেষ পাঁচ উইকেট পড়ল মাত্র ৩৩ রানে। শাহীন শাহ আফ্রিদি রান না করেই রানআউট। আর কেশব মহারাজ তুলে নেন সালমান আগা (২৮) ও সাজিদ খানকে (১৩)।

মহারাজ শেষ করেন ২ উইকেট নিয়ে ৩৪ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে তার ফিগার ছিল ভয়ংকর ৭-১০২। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ১০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন সেনুরান মুথুসামি। 

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হরম র উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ, প্রথমার্ধে পিছিয়ে ঋতুপর্ণারা

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে আগের হিসাব পাল্টানোর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের।

তবে ব্যাংককের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধে সেই স্বপ্নে আপাতত ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।

বাংলাদেশ নারী দল এর আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, ২০১৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে ৯–০ গোলের বড় হার দেখেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও মুখোমুখি দুই দল।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় দেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা ফল জানার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে এক গোল করে।
এ ম্যাচ দিয়েই সাড়ে তিন মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল।

একই সঙ্গে আগামী বছরের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিও শুরু হলো এই প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ড ৫৩তম, বাংলাদেশ আছে ১০৪ নম্বরে। ম্যাচের আগে গোলকিপার রুপনা চাকমা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সেরাটা দিতে চাই, আমাদের লক্ষ্য জেতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ