বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, গত ১৫ বছর একটি শাসন ব্যবস্থা ছিলো যে শাসন ব্যবস্থায় জুলুম অত্যাচার নিপীড়নের অনেক কাহিনী শুনেছেন, মামলা খেয়েছেন, ঘর ছাড়া থেকেছেন এই কাহিনী আপনাদের সবারই জানা আছে।

এই জুলুম অত্যাচার থেকে বাচাঁর জন্য গত বছরের জুলাই আগস্টে যে আন্দোলন হয়েছে, যে সংগ্রাম হয়েছে, যে অভ্যুত্থান হয়েছে, জনগন সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসককে এই দেশ থেকে বিতারিত করেছে।

যে বিশ্বাস নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি, জেলে গিয়েছি, তাদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের মারণাস্ত্রের সামনে বুক পেতে দাড়িয়েছি আমরা কিন্তু ভয় পাই নাই। জনগনের বিজয় হয়েছে, জুলুম অত্যাচারের অবসান হয়েছে।

আমরা বিশ্বাস করতাম যে, এই অত্যাচারী শাসকরা একদিন না একদিন আমাদের প্রতিরোধের মুখে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আমাদের বিশ্বাস ছিলো আল্লাহর উপর যে, এই জুলুম আল্লাহ্ সহ্য করতে না পেরে একদিন না একদিন এমন পতন দিবেন, এই দলটি আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

নাসিক ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সদস্য মাসুুদুর রহমান মাসুদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: কবির হোসেন।

এসময় মামুন মাহমুদ বলেন, এই দেশ আমাদের পূর্ব পুরুষরা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সুতরাং এই দেশকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমার। আমরা যদি এই দেশকে ভালো রেখে যেতে না পারি তাহলে আমার পরের প্রজন্ম আমার সন্তান দূর্ভোগ এবং কষ্টের শিকার হবে। বাসা থেকে বের হবে পকেট থেকে টাকা নিয়ে চলে যাবে ছিনতাইকারীরা। দেশে কোনো আইনের শাসন থাকবে না।

এজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান আগেই বলেছেন আমি ৩১ দফা দিলাম। এই ৩১ দফার মধ্যে আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের আমলে শাসন ব্যবস্থায় দলীয়করণ করা হয়েছে, দূর্নীতিকরণ করা হয়েছে, এগুলো দূর করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে দলীয় যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এভাবে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকটা স্তম্ভকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি যদি আপনাদের ভোটে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে দেশ পরিচালিত হবে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে, আইনের শাসনের ভিত্তিতে ও ৩১ দফার ভিত্তিতে। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা হারুন মাস্টার, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামছুদ্দিন শেখ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক নুর হোসেন,  সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিন্না, সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দেওয়ান, ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া, রাকিব প্রধান, আফজাল হোসেন, মহারাজ, তনু পাগলা, আলী আজম, মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আম দ র এই দ শ সদস য একদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কর্তৃত্ববাদের সময়ে মানুষ কার্টুন আঁকতেও ভয় পেত: ইফতেখারুজ্জামান

গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষ কার্টুন আঁকতেও ভয় পেত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন সব দিক থেকে, সব সম্ভাব্য উপায়ে, এমনকি কার্টুন এঁকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও ভীতিকর প্রভাব ফেলেছিল। ফলে তরুণেরা কার্টুনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের অধিকার ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিল।’

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় টিআইবি আয়োজিত ‘দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা–২০২৫’–এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ বছর চারটি ক্যাটাগরিতে মোট আটজন কার্টুনিস্টকে পুরস্কৃত করেছে টিআইবি।

অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং বাক্‌স্বাধীনতার অধিকারকে প্রভাবিত করেছিল। যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জনগণ গিয়েছে, তা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা কঠিন হবে।

এ সময় টিআইবি আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতার উদাহরণ দেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, টিআইবি প্রতিবছরই দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিবছরই ৩৫০ থেকে ৪০০টি কার্টুন জমা পড়ত। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশিও পড়ত। তবে ২০২৪ সালে, সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল ২৪৭টিতে, যা এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের পরিবার, তাঁদের স্কুলশিক্ষক বা কলেজশিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, শুধু তা–ই নয়, তিন বছরের বিরতির পর চারুকলা অনুষদে টিআইবি এই অনুষ্ঠান করতে পারছে। আগের সরকার ও শাসনব্যবস্থা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল যে টিআইবি চারুকলায় প্রদর্শনী করতে পারেনি। এমনকি ব্যক্তিগত গ্যালারিতে আয়োজন করতে গেলেও গ্যালারিমালিককে ভয় দেখানো হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ