মারণাস্ত্রের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়েছি, ভয় পাইনি : মামুন মাহমুদ
Published: 23rd, October 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, গত ১৫ বছর একটি শাসন ব্যবস্থা ছিলো যে শাসন ব্যবস্থায় জুলুম অত্যাচার নিপীড়নের অনেক কাহিনী শুনেছেন, মামলা খেয়েছেন, ঘর ছাড়া থেকেছেন এই কাহিনী আপনাদের সবারই জানা আছে।
এই জুলুম অত্যাচার থেকে বাচাঁর জন্য গত বছরের জুলাই আগস্টে যে আন্দোলন হয়েছে, যে সংগ্রাম হয়েছে, যে অভ্যুত্থান হয়েছে, জনগন সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসককে এই দেশ থেকে বিতারিত করেছে।
যে বিশ্বাস নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি, জেলে গিয়েছি, তাদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের মারণাস্ত্রের সামনে বুক পেতে দাড়িয়েছি আমরা কিন্তু ভয় পাই নাই। জনগনের বিজয় হয়েছে, জুলুম অত্যাচারের অবসান হয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করতাম যে, এই অত্যাচারী শাসকরা একদিন না একদিন আমাদের প্রতিরোধের মুখে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আমাদের বিশ্বাস ছিলো আল্লাহর উপর যে, এই জুলুম আল্লাহ্ সহ্য করতে না পেরে একদিন না একদিন এমন পতন দিবেন, এই দলটি আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিক ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সদস্য মাসুুদুর রহমান মাসুদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: কবির হোসেন।
এসময় মামুন মাহমুদ বলেন, এই দেশ আমাদের পূর্ব পুরুষরা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সুতরাং এই দেশকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমার। আমরা যদি এই দেশকে ভালো রেখে যেতে না পারি তাহলে আমার পরের প্রজন্ম আমার সন্তান দূর্ভোগ এবং কষ্টের শিকার হবে। বাসা থেকে বের হবে পকেট থেকে টাকা নিয়ে চলে যাবে ছিনতাইকারীরা। দেশে কোনো আইনের শাসন থাকবে না।
এজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান আগেই বলেছেন আমি ৩১ দফা দিলাম। এই ৩১ দফার মধ্যে আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের আমলে শাসন ব্যবস্থায় দলীয়করণ করা হয়েছে, দূর্নীতিকরণ করা হয়েছে, এগুলো দূর করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে দলীয় যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এভাবে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকটা স্তম্ভকে ভেঙেচুরে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি যদি আপনাদের ভোটে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে দেশ পরিচালিত হবে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে, আইনের শাসনের ভিত্তিতে ও ৩১ দফার ভিত্তিতে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা হারুন মাস্টার, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামছুদ্দিন শেখ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিন্না, সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দেওয়ান, ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া, রাকিব প্রধান, আফজাল হোসেন, মহারাজ, তনু পাগলা, আলী আজম, মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আম দ র এই দ শ সদস য একদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৩১দফা জনগনের কাছে বিএনপির একটি অঙ্গীকার : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ৩১দফা হলো জনগনের কাছে বিএনপির একটি অঙ্গীকার। ধানের শীষ মার্কায় কেন জনগণ ভোট দিবে সেটা জনগণের সামনে ৩১ দফার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই ৩১দফা হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং শ্রমিক, কৃষক, ব্যবসায়ী,নারী, শিশু অধিকার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কিভাবে রাষ্ট্রনির্ধারণ করবে সেই বক্তব্য গুলোই বিএনপি জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।
আমরা এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চায় আগামী নির্বাচনে যদি আপনারা বিএনপিকে ধানের শীষে ভোট দেন আর আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে আমরা ৩১অথবা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অন্তর্গত ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ) বিকেল চারটায় শহরের মাসদাইর বাজার এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন আমরা চাই মাসদাইরসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে শান্তি। বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে বলতে চাই আপনাদেরকে সহনশীল হতে হবে। আপনাদেরকে জনবান্ধব হতে হবে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকান্ডে আপনাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
যদি জনগণের ক্ষতি এমন কোন কর্মকান্ড আপনারা করেন তাহলে দলের বদনাম হবে ধানের শীষের বদনাম হবে। সুতরাং দলের বদনাম হয় এমন কোন কাজে আপনারা অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন দিব না।
আমরা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে সাবধান করে দিতে চাই এ সকল বিষয় যাদের বিরুদ্ধে থাকবে তাদের দল করার কোন অধিকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে কিন্তু সারা বাংলাদেশে সাড়ে ছয় হাজারের অধিক বড় বড় বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সমাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কারন আমরা চাই নারায়ণগঞ্জের শান্তি। বিএনপির কোন নেতা কর্মীর হাতে যেন এই এলাকার কোন মানুষের প্রতি সাধন না হয়। যদি বিএনপি করতেই হয় তাহলে আমাদেরকে সুনাগরিক হতে হবে। আগে আমাদেরকে ভালো হতে হবে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারবো।
পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মহানগর ১৩নং এড. শেখ আঞ্জুম আহম্মেদ রিফাতের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাশিদা জামাল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ সেলিম আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হারুন শেখসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।