সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‍“বয়স্কভাতা কার্যক্রমে প্রকৃত দুস্থ ও যোগ্য বয়স্ক নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাদের ত্রুটি পাওয়া যাবে, তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ভাতাভোগীদের হালনাগাদ ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বয়স্ক ভাতার বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের তালিকা হালনাগাদকরণের লক্ষ্যে ৮টি উপজেলায় পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতি (Methodology) পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা 

উপদেষ্টা বলেন, “১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে বয়স্কভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র চার লাখ। বর্তমানে তা ৬১ লাখে পৌঁছেছে, যা আমাদের জন্য একটি বড় মাইলফলক।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে। বরাদ্দ অনুযায়ী অনেক দরিদ্র মানুষ এখনো এসব সুবিধা পাচ্ছেন না। ভাতাভোগী নির্বাচন ও বিতরণে বিভিন্ন অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। তাই প্রকৃত ভাতাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে ৮টি উপজেলায় পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে সারাদেশে এই কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে।”

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “এ দেশের স্থায়ী নাগরিক ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিকতা যাচাই করে প্রকৃত দুস্থ ও বয়স্ক নাগরিককে ভাতার আওতায় আনতে হবে। অযোগ্য ভাতাভোগী চিহ্নিত হলে তাদের বাদ দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন ভাতাভোগী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”

সভায় জানানো হয়, এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম)-এ তথ্য হালনাগাদ ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া PMT Score (Proxy Means Test) এর ভিত্তিতে একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ন করা হবে। পাইলটিং কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রশাসনিক সক্ষমতা, আর্থিক সংশ্লেষ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সহজীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।”

পাইলটিং কার্যক্রমের আওতাধীন উপজেলাগুলো হলো—বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ময়মনসিংহের গৌরিপুর, রংপুরের তারাগঞ্জ, নওগাঁর নেয়ামতপুর, খাগড়াছড়ির রামগড় এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া।

সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

মোহাম্মদ আবু ইউছুফ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট প রক ত র আওত প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও হবে একই দিন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তার ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ২০ দিন সময় রয়েছে।

ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ