ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের তারাইল এলাকায় ভাঙ্গামুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতি গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিনহাজুর রহমান (২৪) ও পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রামের জুয়েল রানার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন (৩০)।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌসের নাম জানা গেছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যমুনা লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। পথে বাসটি অজ্ঞাতনামা একটি গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে সামনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর যমুনা লাইনের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে এক্সপ্রেসওয়েতে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কয়েকজন যাত্রী বাসটির পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ভাঙ্গাগামী একটি ট্রাক এসে বাসটির পেছন থেকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন যাত্রী চাপা পড়েন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের বলেন, ওই দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁরা মারা যান।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। অন্ধকার ও অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় তরুণীকে ঘুরতে নিয়ে ধর্ষণ, থানায় মামলা

ফতুল্লায় ঘুরতে নিয়ে এক তরুণী (১৮)কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ঐ তরুনী বাদী হয়ে ধর্ষনের ও ধর্ষন করার কাজে সহোযোগিতা করার অভিযোগ এনে দুই নারী সহ তিন জনের বিরুদ্ধে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলার আসামীরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার শান্তিধারা এলাকার আনোয়ার মেম্বারের ভাড়াটিয়া মৃত চান মিয়ার পুত্র হাসান শরীফ(৪০), একই থানার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শরিদুল ইসলামের মেয়ে রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তার(২৫) ও বিন্দু (৩০)।


মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ফতুল্লা থানা তল্লা প্রাইমারী স্কুলের সামনে "রোজা বিউটি পার্লার" নামের প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন নিচ্ছে ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণী। গত কয়েক মাস পূর্বে মামলার আসামী রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তার ঐ পার্লারে ৩দিনের প্রশিক্ষন কর্মশালায় অংশ গ্রহন করে। সেখানে ওই তরুণীর সাথে পরিচয় হয় রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তারের।
পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রায় সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হতো। এক পর্যায়ে তরুণীকে  ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তার। তরুণী সম্মতি প্রকাশ করলে চলতি মাসের ৪ তারিখ রাত ১০ টার দিকে ভুইগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী প্রাইভেট কারে করে মাওয়া বেড়াতে যায় তারা। মাওয়া ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরেফিরে তারা বুধবার ভোর সকাল ৬ টার দিকে ভুইগড় শান্তিধারাস্থ  মামলার প্রধান আসামী ধর্ষক  হাসান শরিফের বসবাসরত ভাড়াটিয়া বাসায় আসে। সেখানে মামলার অপর দুই আসামী রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তার ও বিন্দু তরুণীকে জোড়পূর্বক হাসান শরীফের বেড রুমে দিয়ে তারা অন্য রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে হাসান শরীফ তরুণীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দন চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে চেস্টা করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ