ইনিংস ব্যবধানে হারের পর জরিমানাও গুনলো আফগানিস্তান
Published: 24th, October 2025 GMT
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুইদিন আগে জিম্বাবুয়ের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল আফগানিস্তান। শুধু তাই নয়, এবার জরিমানাও গুনতে হলো। একমাত্র সেই টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
আইসিসির এমিরেটস এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন জানান, আফগানিস্তান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঁচ ওভার পিছিয়ে ছিল। সময় বাড়ানোর সুযোগ হিসাবেও যে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল, সেই সময়ের মধ্যেও তারা ঘাটতি ওভার পূরণ করতে পারেনি।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ সফরে রহস্যময় অসুস্থতার কথা জানালেন তিলক
আইসিসির আচরণবিধির ধারা ২.
মাঠের আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও নিতিন মেনন, তৃতীয় আম্পায়ার ফস্টার মুতিজওয়া এবং চতুর্থ আম্পায়ার পারসিভাল সিজারা এই অভিযোগ উত্থাপন করেন। আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহিদি অভিযোগ স্বীকার করে জরিমানা মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
শুধু জরিমানাই নয়, ম্যাচটিও আফগানদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। ১২ বছর পর নিজেদের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে। আর আফগানিস্তান হারে ইনিংস ও ৭৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। জিম্বাবুয়ের ব্র্যাড ইভান্স একাই নেন পাঁচ উইকেট। জবাবে জিম্বাবুয়ে তোলে ৩৫৯ রান। যেখানে আফগান বোলার জিয়াউর রহমানের দুর্দান্ত সাত উইকেটও বৃথা যায়। ২৩২ রানের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা আবারও ধসে পড়ে। এবার তারা ৪৩ ওভারে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয়। এই ইনিংসে এবার বিধ্বংসী ছিলেন রিচার্ড এনগ্রাভা। তিনি ৩৭ রানে ৫টি ও ব্লেসিং মুজারাবানি ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের ইনিংস ধ্বসিয়ে দেন।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
পারটেক্স পিভিসি কিনে নিল নাবিল, নতুন করে যাত্রা শুরু
তিন বছর উৎপাদন বন্ধ থাকার পর আবারও বাজারে আসছে পারটেক্স ব্র্যান্ডের পিভিসি ডোর (দরজা)। আগে এই পিভিসি ধরনের দরজা তৈরি করত পারটেক্স পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজ। এখন সেই পণ্য উৎপাদন করবে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এনজিআই)। পারটেক্স স্টার গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানসহ চারটি প্রতিষ্ঠান গত বছর অধিগ্রহণ বা কিনে নিয়েছে নাবিল গ্রুপ। এরপর নতুন করে আবারও প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে নাবিল গ্রুপ।
নাবিল গ্রুপ জানিয়েছে, পারটেক্স রকি, হিরো ও পপুলার—এই নামেই পুরোনো তিন মডেলের দরজা নতুন করে বাজারে এনেছে পারটেক্স পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানির মালিকানা বদল হলেও আগের নামেই; অর্থাৎ পারটেক্স পিভিসি নামেই কোম্পানিটি পরিচালিত হচ্ছে।
রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে আজ সোমবার সকালে পারটেক্সের পিভিসি দরজার নতুন তিনটি মডেলের রিলঞ্চিং (পুনরায় কার্যক্রম শুরু) করা হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পারটেক্স পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক জাবিদ ইকবাল, প্রধান বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা সৈয়দ কাইয়ুম হাসানসহ নাবিল গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পারটেক্স পিভিসি ডোরের পরিবেশকেরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পারটেক্স পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে নতুন এই পণ্য নিয়ে পরিবেশকদের নানা বিষয়ে অভিযোগ ও পরামর্শ শোনেন নাবিল গ্রুপের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিল গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় সরাসরি প্রায় আট হাজার পরিবেশক যুক্ত রয়েছে। সরবরাহ শৃঙ্খল ও পরিবেশকের মাধ্যমে আমরা প্রতি মাসে কয়েক শ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করি। তাই আপনারা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা আপনাদের সহযোগী হতে চাই, নিয়ন্ত্রক নয়।’
মো. আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পারটেক্স একটি পরিচিত নাম। এটিও আমাদের একটি বড় শক্তি। আমরা এই মর্যাদাকে ধরে রাখতে চাই। নাবিল গ্রুপের মাধ্যমে পারটেক্স নামটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এ ছাড়া পরিবেশকদের বার্ষিক প্রণোদনা ও মুনাফা বাড়াতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
পরে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন করে আমরা কোম্পানিটিতে ২০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করবে। তাতে আগামী কয়েক বছরে আরও ৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
পণ্য বাজারজাতের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারটেক্স পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক জাবিদ ইকবাল বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে পারটেক্স স্টার গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে নাবিল গ্রুপ। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বন্ধ থাকা কয়েকটি ইউনিট পুনরায় চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর বাজারের বাইরে থাকায় পারটেক্স পিভিসি ডোরের ব্র্যান্ড উপস্থিতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে এখন আমাদের নতুন উদ্যোগে ফিরে আসার লক্ষ্য রয়েছে।’
নাবিল গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, পারটেক্সের যে চারটি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেছে সেগুলো হলো, পারটেক্স ফার্নিচার, পারটেক্স পিভিসি ডোর, পারটেক্স পার্টিকেল বোর্ড ও পারটেক্স লেমিনেশন। তবে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি বলে সূত্রটি জানায়।