চিত্রনায়িকা পরীমনির জন্মদিন মানেই একসময় ছিল জমকালো আয়োজনের প্রতীক। বছরের পর বছর পাঁচতারা হোটেলের আলোকছটা, সহকর্মীদের কোলাহল, থিম ধরে রঙিন গাউন, কেক কাটায় ক্যামেরার ফ্ল্যাশ—সব মিলিয়ে ঢাকাই শোবিজ অঙ্গনের এক অনিবার্য উৎসব হয়ে উঠেছিল তাঁর জন্মদিন। সেই ঝলমলে জন্মদিনগুলো এখন যেন অতীতের গল্প। সময় বদলেছে, পরীমনিও বদলেছেন। এবারের জন্মদিনে (২৪ অক্টোবর) তিনি নেই দেশে, নেই আয়োজনের আড়ম্বরও।
একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে, দূর দেশে কাটছে তাঁর জন্মদিন—মালয়েশিয়ার এক নিরিবিলি শহরে। কয়েক দিন আগে নিজের ফেসবুকে আগাম কেক কাটার ছবি পোস্ট করেছিলেন পরীমনি। ক্যাপশনে জানালেন, ‘দেশ ছাড়ছি দশ দিনের জন্য। গন্তব্য মালয়েশিয়া।’ আর জন্মদিনের দিন শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সেখান থেকেই লিখলেন সেই আত্মবিশ্বাসী সুরে—‘এ জীবন শুধু বেঁচে থাকার চেয়ে বাঁচা জীবন উদ্‌যাপন করাই শ্রেয়। জীবনের আনন্দ, বেদনা, কষ্ট, সুখ—সবকিছু নিয়েই আজকের এই জীবন।’ পোস্টের শেষে লিখলেন—‘হ্যাপি বার্থডে মাইসেলফ!’ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টে রিঅ্যাকশন ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়, মন্তব্য পড়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি। যা প্রমাণ করে—ভক্তদের আগ্রহ একটুও কমেনি। আলো হয়তো বদলে গেছে, কিন্তু নিভে যায়নি।

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ থেকে ‘মা’
এ কথাটা বারবার বলা হয়েছে, পরীমনির জীবনের গল্প একেবারেই সিনেমার মতো। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর পরীমনির জন্ম হয়েছিল সাতক্ষীরায়। তবে তিনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরের শঙ্করপাশা গ্রামে। চলচ্চিত্রজগতে তিনি পরীমনি নামে পরিচিত হলেও তাঁর জন্মনাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। বয়স যখন মাত্র তিন বছর, তখন তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন সালমা সুলতানা। সে সময় মা–হারা পরীমনিকে বাবা মনিরুল ইসলাম রেখে আসেন তাঁর নানাবাড়ি পিরোজপুরে। সেখানে নানা শামসুল হক গাজীর তত্ত্বাবধানে ছোটবেলা কাটে অভিনেত্রীর। ২০২৩ সালে সেই নানাকেও হারিয়েছেন। বার্ধক্যের কারণে নানার মৃত্যু হয়।

নানা শামসুল হক গাজীর কোলে পরীমনির সন্তান রাজ্য, পাশে মা পরীমনি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটায় সওজকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা

পাহাড় কাটার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সওজ প্রায় ৩৫ শতক পাহাড় কেটেছে। তদন্ত শেষে আজ বুধবার জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ গোলাম বাশির আহমেদ প্রথম আলোকে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।

সওজের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন দাবি করেন, তাঁরা জনস্বার্থে পাহাড় কেটে সেতু তৈরি করেছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যে পরিমাণ উল্লেখ করেছে, সে পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়নি। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ‘বারাইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক সম্প্রসারণ (এলওসি-৩)’ প্রকল্পের কাজে ওই পাহাড় কাটা হয়। এ সড়কের ১৭টি এলাকায় পাহাড় কাটা হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। এক বছরের মাথায় গত ৪ নভেম্বর আরেক দফা তদন্ত করা হয়। দুবার তদন্ত করে মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭০ ঘনফুট বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতক পাহাড় কাটার হিসাব বের করা হয়।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, আজ সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে শুনানি হয়। এরপর জরিমানা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ