রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দুই স্কুলছাত্র আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানকার ওয়াপদা কলোনির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলো, নিয়াজ আহমেদ (১৬) ও আনাস আহমেদ( ১৪)। এর মধ্যে নিয়াজ শনির আখড়ার এ কে স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম ও আনাস দোলাইপাড় সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিয়াজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আনাস প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

আহত আনাস প্রথম আলোকে বলে, ‘সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে ওয়াপদা কলোনির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হওয়া মাত্রই অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জন ছুরি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নিয়াজের পেটে ও আমার মাথায় আঘাত লাগে। হামলাকারীরা আরও দুজনকে মারধর করে। তবে কারা, কেন হামলা করেছে সে বিষয়ে কিছু জানি না।’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কামরুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলাকে বলেন, পুলিশ ঘটনার বিষয়ে জানতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছে। নিয়াজের আঘাত গুরুতর। আনাস চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে। বিস্তারিত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি

রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।

এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ