সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য
Published: 25th, October 2025 GMT
গ্রামবাংলার মাঠে-মাঠে একসময় জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হতো কাবাডি বা হাডুডু খেলা। সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক খেলাধুলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলাদেশের এই জাতীয় খেলা। তবে দীর্ঘদিন পর সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক চেঙ্গাকান্দী গ্রামের তরুণরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চেঙ্গাকান্দী বালুর মাঠে আয়োজিত হয় এক চমৎকার কাবাডি প্রতিযোগিতা। আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শক মাঠে ভিড় জমান। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা যেন ফিরে এসেছে গ্রামবাংলার সেই সোনালি দিন।
খেলার আয়োজক শরীফ বলেন, হাডুডু আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় আজ তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় লাল দল ও নীল দল মুখোমুখি হয়। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে দুই দলই সমানভাবে জয় ভাগাভাগি করে নেয়।
খেলা দেখতে আসা স্থানীয় দর্শক মো.
দর্শক তারা মিয়া বলেন, এই খেলা আমাদের গ্রামের মানুষকে একসাথে করে। আজকে ছেলেমেয়েরা, বৃদ্ধ সবাই মিলে মাঠে এসেছে এটাই তো আসল আনন্দ। এমন আয়োজন বারবার হলে গ্রামের সংস্কৃতি টিকে থাকবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী বলেন, কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা গেলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে এবং ঐতিহ্য টিকবে।”
কাবাডি খেলোয়াড় শুক্কুর আলী বলেন, “কাবাডিতে এখনো অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারে না। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয়, কাবাডি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাকির সরকার এবং উদ্বোধক ছিলেন এডভোকেট সানাউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি বারাকাহ হাসপাতালের পরিচালক ড. আবদুল মালেক।
উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশেই কাবাডির উৎপত্তি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় এবং এটিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটায় সওজকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা
পাহাড় কাটার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সওজ প্রায় ৩৫ শতক পাহাড় কেটেছে। তদন্ত শেষে আজ বুধবার জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ গোলাম বাশির আহমেদ প্রথম আলোকে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
সওজের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন দাবি করেন, তাঁরা জনস্বার্থে পাহাড় কেটে সেতু তৈরি করেছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যে পরিমাণ উল্লেখ করেছে, সে পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়নি। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ‘বারাইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক সম্প্রসারণ (এলওসি-৩)’ প্রকল্পের কাজে ওই পাহাড় কাটা হয়। এ সড়কের ১৭টি এলাকায় পাহাড় কাটা হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। এক বছরের মাথায় গত ৪ নভেম্বর আরেক দফা তদন্ত করা হয়। দুবার তদন্ত করে মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭০ ঘনফুট বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতক পাহাড় কাটার হিসাব বের করা হয়।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, আজ সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে শুনানি হয়। এরপর জরিমানা করা হয়।