সালমান শাহর লাশ দেখে মাটিতে বসে পড়েছিলাম : আহমেদ শরীফ
Published: 25th, October 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ—যার উপস্থিতি আজও দর্শকের হৃদয়ে অম্লান। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন খ্যাতির শিখরে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, হঠাৎ করেই তার মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে যায় চলচ্চিত্র অঙ্গন। দীর্ঘ ২৯ বছর পর সেই মৃত্যুর রহস্য আবারও আলোচনায়।
সম্প্রতি জনপ্রিয় খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ এক সাক্ষাৎকারে সালমান শাহকে স্মরণ করে বলেন, “আমার মতে, দেশে যত নায়ক এসেছে, তাদের মধ্যে সালমান শাহ সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আমি তখন শুটিং করছিলাম। হঠাৎ খবর এল—সালমান মারা গেছে। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, যেন আকাশ ভেঙে পড়ল মাথার ওপর।”
আবেগভরা কণ্ঠে আহমেদ শরীফ আরও বলেন, “যতটুকু মনে পড়ে, সালমান শাহ স্ট্রেচারে শুয়ে ছিল। গায়ে কোনো জামা ছিল না, কেবল গলায় একটি চেইন ছিল। আমি কাছে যেতে চাইছিলাম, কিন্তু নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। অস্থিরতায় আমি মাটিতে বসে পড়েছিলাম। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে বিষয়টি ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে বিবেচিত হলেও পরবর্তীতে নানা তদন্ত ও আলোচনা শেষে দীর্ঘ ২৯ বছর পর মামলাটি ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে পুনর্গঠিত হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।