অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক প্রণয়নের উদ্যোগ ঢাকা চেম্বারের
Published: 25th, October 2025 GMT
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশকিছু সূচকের কার্যক্রম রয়েছে। যদিও এসব সূচক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে এবং কেন পরিবর্তিত হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে না। এ প্রেক্ষিতে ডিসিসিআই ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর কার্যক্রম রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও পরর্বতীতে ধাপে ধাপে সারা দেশে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ শীর্ষক আলোচনা সভার ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ এসব কথা বলেন।
আলোচনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান ও আশরাফ আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর মহাপরিচালক মো.
তাসকীন আহমেদ বলেন, “ত্রৈয়মাসিক ভিত্তিকে প্রকাশিতব্য এ সূচকের মাধমে বিশেষকরে শিল্প খাতে উৎপাদন, বিক্রয়, অর্ডার প্রবাহ, রপ্তানির প্রবণতা, কর্মসংস্থান, ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগের প্রবৃত্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া পাবে। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে এ সূচকে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, পাইকারী ও খুচরা বাণিজ্য, আবাসন, পরিবহন ও স্টোরেজ এবং ব্যাংক খাতের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. একেএম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী।
ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, “তৈরি পোষাক খাত অনেক ধরনের সুবিধা বেশি পাচ্ছে, তাই এর সাথে অন্যান্য খাতের তুলনার বিষয়টি তেমন যৌক্তিক নয়।”
এনপিওর মহাপরিচালক নূরুল আলম বলেন, “গবেষণা কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহে আরো সচেতন হতে হবে, যা প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নে আরো সহায়ক হবে এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা নির্ধারণের উপর জোরারোপ করা আবশ্যক।”
এসএসজিপির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ নেসার আহমেদ বলেন, “এলডিসি উত্তরণের আগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিদ্যমান সুবিধার বেশিরভাগই বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে, তাই এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে এ সুবিধা বঞ্চিত হওয়া পরিবেশ মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন বলেন, “অর্থনীতি, শিল্প খাত, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ওপর বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থা থাকলেই, বিনিয়োগ প্রাপ্তির পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব।”
বিএফটিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহমেদ দেশের বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের সাথে ঢাকা চেম্বারের গবেষণার তথ্যের সমন্বয়ের ওপর জোরারোপ করেন, সেই সাথে এ গবেষণায় খাত ভিত্তিক আরো বহুমুখী তথ্যের সংযোজনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা বলেন, “এসএমইদের জন্য নীতিমালা ইতোমধ্যে বেশ সহজ করা হয়েছে। তবে ঋণ প্রাপ্তিতে কি ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে, উদ্যোক্তাদের থেকে এধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সে অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে সহজ হবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) ড. সালিম আল মামুন বলেন, “জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কৃষি খাতের তথ্য জরুরী, তাই এ গবেষণায় এ খাতের তথ্য সম্পৃক্তকরণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া আবশ্যক।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, “প্রতিষ্ঠিত ফর্মুলা ব্যবহার করে এ গবেষণাটি পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, সেই সাথে প্রসিদ্ধ কোন জার্নালে পরিচালিত গবেষণার সার-সংক্ষেপ প্রকাশের উদ্যোগী হওয়া জরুরি।”
র্যাপিড এর গবেষণা পরিচালক ড. দীন ইসলাম বলেন, “সামষ্টিক অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পরিচালিত গবেষণার কার্যপদ্ধতি সংশোধন করা যেতে পারে।”
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উদ য গ ড স স আই প রণয়ন আহম দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কমিশনের কাছে ২১ দাবি, আছে সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাবনা
বার্ষিক ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন। তারা চাকরিজীবিদের গ্রেড কমিয়ে ১২টি এবং ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি করেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা। এ সময় তারা মোট ২১টি প্রস্তাবনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া।
তিনি বলেন, “পে কমিশনের কাছে আমাদের দাবি, দেশের বাজার ব্যবস্থা বিশ্লেষণ, ৬ সদস্য পরিবারের জীবনযাপন ব্যয় ও বেতন বৈষম্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি ন্যায্যতার ভিত্তিতে নবম পে স্কেল প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও বেতন কমিশনের নিকট আমরা ২১টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করছি।”
তাদের দাবিগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৯ম পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার করা।
এছাড়া শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াতসহ বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ও রেশন পদ্ধতি চালি করা।
সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেড কমিয়ে ১২টি করার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি করা হয়।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ