জাতীয় নাগরিক পার্টির সহযোগী ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন আবু বাকের মজুমদার।

ফেসবুক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে রাত ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল (বাইরের) এবং ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীণ) অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’

পরে এ বিষয়ে আবু বাকের মজুমদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তিনি মোটরসাইকেলে করে শাহবাগের দিক থেকে বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারের দিকে যাচ্ছিলেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পার হওয়ার সময় পরীবাগের দিক থেকে তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা তিনি দেখেননি। তিনি বাইক চালাচ্ছিলেন।

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে রাত পৌনে দশটার দিকে বাংলামোটরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি।    

এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ককেটল বিস্ফোরণের কোনো খবর আমরা পাইনি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেনি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ